Omicron New Subvariant: কোভিড বিধি নেই একাধিক দেশে, সুযোগ পেয়েই বাড়ছে ওমিক্রন
Fourth Wave Of Covid-19: এই করোনা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে চাপ বৃদ্ধি পাবে। এও বলা হয়েছে, বর্তমানে এমন কোন প্রমাণ নেই যে টিকা দেওয়ার পরে সংক্রমণ হবে না।
নয়া দিল্লি: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড-১৯। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবলবেগে বাড়ছে করোনা। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি বলেছে ইউনিয়নের দেশগুলি বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিনহুয়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, যে যদিও অনেক দেশ বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। লক্ষ্য করা হয়েছে যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের হার আবার বাড়ছে। আংশিকভাবে বেশ কিছু জায়গায় বাড়ছে ওমিক্রন।"
এই করোনা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে চাপ বৃদ্ধি পাবে। এও বলা হয়েছে, বর্তমানে এমন কোন প্রমাণ নেই যে টিকা দেওয়ার পরে সংক্রমণ হবে না। তবে ভ্যাকসিন নিলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু সংখ্যা কম করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলিতে অনুমোদন পেয়েছে সেগুলি হল Pfizer/BioNTech, Moderna, AstraZeneca, Janssen এবং Novavax টিকাগুলি।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিডের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সকলকে। চিনে ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বেজিং জানিয়েছে, ৫ হাজার ২৮০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কিছু প্রদেশে সংক্রমণের হারও বেশি। ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলেছে যে ২০২০ এর পর সর্বোচ্চ এই আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল জিলিন প্রদেশ।
ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক প্রদেশে লকডাউন হয়েছে। চিনে মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা কেস রিপোর্ট করেছে। তবে এই প্রাদুর্ভাবে নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বেজিং, সাংহাই, শিয়ানজেন এর মতো শহরেও প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে। জিলিনের বাসিন্দাদের সেই প্রদেশ ছেড়ে অন্যান্য শহরগুলিতে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
নতুন করো চিনে চোখ রাঙিয়েছে করোনা ভাইরাস। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু দেশ থেকে আসছে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর। এই পরিস্থিতিতে বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মনসুখ মাণ্ডব্য বুধবার কর্মকর্তাদের উচ্চ-স্তরের বৈঠকে সতর্কতা বজায় রাখার কথা বলেন। করোনা সংক্রমণ এখন একটু কমলেও, সরকারি আধিকারিকরা যেন কোনওভাবেই গা-ছাড়া না দেন, সেই কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে তড়িত গতিতে জিনোম সিকোয়েন্সিং চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সারা দেশে কোভিড -১৯ সংক্রান্ত বিধিনিয়মে যাতে গাফিলতি না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলেন ।