Kalna Municipality Administrator : কাটোয়ার পর এবার কালনা, কে হচ্ছেন পুর প্রশাসক ?
প্রায় এক মাস সময় অতিবাহিত। কালনা পুরসভার প্রশাসক পদে এখনও পর্যন্ত কাউকে বসানো হয়নি। কে হবেন পরবর্তী প্রশাসক ?
রাণা দাস, কালনা(পূর্ব বর্ধমান) : প্রায় এক মাস সময় অতিবাহিত। কালনা পুরসভার প্রশাসক পদে এখনও পর্যন্ত কাউকে বসানো হয়নি তৃণমূলের তরফে। গত বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে কালনা পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে কালনা আসনে জয়ী হন তৃণমূলের দেবপ্রসাদ বাগ। কিন্তু, কালনা পৌরসভা এলাকায় তিনি প্রায় 3 হাজার ভোটে পিছিয়ে যান। তার পরই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি দেবপ্রসাদ বাগের বদলে কালনা পুর প্রশাসকের পদে নতুন কেউ আসছেন?
কালনা পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলারদের একটি অংশ চাইছে, দেবপ্রসাদ বাগ যখন বিধায়ক হয়েছেন তখন পুর প্রশাসকের পদে দক্ষ নতুন মুখ আনা হোক। অন্যদিকে কাউন্সিলরদের একটি অংশ মনে করছে, ফের পুরো প্রশাসক পদে দেবপ্রসাদ বাগকেই বসানো হোক। আর এনিয়েই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
কয়েকদিন আগেই কাটোয়া পুরসভায় পুনরায় পুর প্রশাসকের পদে বসানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। আর সেই একই জেলায় কালনা পুরসভায় এখনও তৃণমূলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে প্রশাসকের পদে বসানো হয়নি। এমনকী পুরনো পুর প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগকেও না। এখানেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তাহলে কি অন্য কাউকে দল পুর প্রশাসকের চেয়ারে বসাতে চাইছে।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের একটি অংশ চাইছে না দেবপ্রসাদ বাগ পুনরায় পুর প্রশাসকের পদে বসুক। সেই কারণেই হয়ত তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না যে কাকে বসানো হবে এই পদে। তবে দলের একটি অংশ মনে করছে, কালনা বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে হারিয়ে দৌড়ে কিন্তু দেবপ্রসাদ বাগই এগিয়ে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন এই পদে কোনও জনপ্রতিনিধি না থাকায় পুরসভার কাজে কিছুটা খামতি হচ্ছে বলে শিকার করছেন বর্তমান পুর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা পৌরসভার এক আধিকারিক। তাঁদের বক্তব্য, একজন জনপ্রতিনিধি যেভাবে কাজ করতে পারেন তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধা হয় । এমনকী বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগও মনে করেন যে, প্রশাসকের পদে জনপ্রতিনিধি থাকলে কাজ করতে অনেক সুবিধা হয় । তাঁর বক্তব্য, দল যাকে ভালো বুঝবে তাঁকে দায়িত্ব দেবে।
অন্যদিকে বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের মধ্যে এতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে দল এখন এইটাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে কাকে পুর প্রশাসকের পদে বসানো হবে। আসলে দল বুঝতে পারছে যে, যাকে বসানো হবে প্রশাসকের পদে, তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী দলের বিপক্ষে চলে যাবে।