Ahmedabad Plane Crash: উন্নত-আধুনিক বিমান, অভিজ্ঞ-দক্ষ পাইলট, তারপরেও কেন এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা? উঠছে নানা প্রশ্ন
Plane Crash: শুধু চওড়া নয়, এই বোয়িং লম্বাতেই ১৩,৫৩০ কিলোমিটার। ২৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের। আন্তঃমহাদেশীয় সফরের ক্ষেত্রেই এই বিমান বেশি ব্যবহৃত হয়।

Ahmedabad Plane Crash: আমদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৮, এই প্লেনটি। এআই ১৭১- এই বিমানেই ঘটেছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। তবে ২০১১ সালে ডেবিউ করার পর এই প্রথম, এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবারের এই ভয়াবহ প্লেন ক্র্যাশের আগে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এয়ারক্র্যাফট চালু হওয়ার পর থেকে গত ১৪ বছরে ১০০০ প্লেন সরবরাহ করে একটি নিখুঁত রেকর্ড তৈরি করেছিল। নির্মাণ সংস্থার ওয়েবসাইটেও এই বিমান সম্পর্কে বলা হয়েছে সর্বকালে সর্বাধিক বিক্রিত যাত্রীবাহী এয়ারক্র্যাফট এটি। এর চওড়া ডিজাইনের জন্যও এই বোয়িং বিখ্যাত। এই বিমানে এক বিলিয়নেরও বেশি অর্থাৎ ১০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী সফর করেছেন। বিভিন্ন 'ওয়াইড বডি' জেটের নিরিখে এভিয়েশনের দুনিয়ায় এই বিশেষ বোয়িং অনেক বেশি দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং এর কাঠামোর জন্য জ্বালানির খরচও প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যায় অন্যান্যদের তুলনায়।
শুধু চওড়া নয়, এই বোয়িং লম্বাতেই ১৩,৫৩০ কিলোমিটার। ২৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের। আন্তঃমহাদেশীয় সফরের ক্ষেত্রেই এই বিমান বেশি ব্যবহৃত হয়। সরাসরি গন্তব্যে উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে এই বিমান। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে এই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্রযুক্তির দিক থেকে যথেষ্ট উন্নত। জ্বালানির খরচও কম। যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ভাল হওয়ার জন্য বোয়িংয়ের ডিজাইন যথেষ্টই লম্বা-চওড়া। সর্বোপরি বৃহস্পতিবার এই বিমানে যে ২ জন পাইলট ছিলেন, তাঁদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাও প্রচুর। বিমান ওড়াচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল। ৮২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে ফার্স্ট অফিসার এবং কো-পাইলট ক্লিভ কুন্দরেরও ১১০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এত উন্নত বিমান, অভিজ্ঞ পাইলট থাকার পরেও কেন এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন। আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। কিন্তু টেক অফের প্রায় পর পরই এটিসি-কে 'মে ডে' বার্তা পাঠান পাইলট। এটিসি জবাব দেওয়ার আগে, টেক অফের এক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। মাটি থেকে মাত্রা ৬০০ ফুটের কিছুটা বেশি উচ্চতায় উড়তে পেরেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমান। তারপরই ভেঙে পড়ে সিভিল হাসপাতালের উপর। হাসপাতালে যে জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেখানে সেই সময় দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলেন চিকিৎসকদের অনেকেই।


















