Ahmedabad Plane Crash: নাশকতা বা পাখির আঘাতের প্রমাণ মেলেনি, বলছে আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট
Plane Crash: এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে জ্বালানি পরিবর্তনকে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমদাবাদ : আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। সেই অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে অন্তর্ঘাতের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)-এর রিপোর্টে লেখা, উড়ান পথের আশপাশে উল্লেখযোগ্য কোনও পাখির কার্যকলাপ দেখা যায়নি। রিপোর্টে কোনও সম্ভাব্য নাশকতার কথা উল্লেখ করা হয়নি এবং পরিবর্তে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে জ্বালানি পরিবর্তনকে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতমাসেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র সঙ্গে কথোপকথনে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী মুরলীধর মোহল জানিয়েছিলেন, তদন্তে নাশকতা-সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে হবে। তিনি বলেছিলেন, "এটি (বিমান দুর্ঘটনা) একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। AAIB এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে... সম্ভাব্য নাশকতা সহ সকল দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং সকল দিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে... বেশ কয়েকটি সংস্থা এটি নিয়ে কাজ করছে।"
প্রথম তদন্ত রিপোর্টে AAIB জানিয়েছে যে, লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট 171-এর দু'টি ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহকারী দুটি সুইচই Cut off হয়ে যায় এবং উড়ানের কয়েক সেকেন্ড পরে বিমানটি ভেঙে পড়ার আগে পাইলটদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, একটি পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন কেন তিনি জ্বালানি বন্ধ করে দিলেন। উত্তরে তিনি জানান, তিনি তা করেননি। রিপোর্ট অনুসারে, ইঞ্জিনগুলিতে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন N1 এবং N2 তাদের টেক-অফ মান থেকে কমতে শুরু করে।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ে শোনা গেছে, এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞাসা করছেন, "Why did you cut off?" অর্থাৎ কেন জ্বালানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল তা জানতে চান তিনি। অপর পাইলট উত্তরে জানান, তিনি তা করেননি। কিন্তু, কী এই CUTOFF ব্যবস্থা ? এর অর্থ, বিমানের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হওয়া। উড়ানের সঙ্গে সঙ্গেই যদি তা হয়, তাহলে তার পরিণতি সহজেই অনুমান করা যায়। এবং এই কারণে, ১২ জুন বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে, লন্ডনগামী বিমানের উভয় ইঞ্জিনের সুইচ CUTOFF থেকে RUN-এ পরিবর্তন করা হয়, যা থেকে বোঝা যায় যে, পাইলটরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। Enhanced Airborne Flight Recorders (EAFR) থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।






















