Anubrata Mondal : দিল্লিতে আদালতে পেশ অনুব্রতকে, ১১ দিন হেফাজতে নিতে আবেদন ED র
Anubrata Mondal Case Update : অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করলেন, 'হেফাজতে পেয়েও মাত্র ২ ঘণ্টার জেরা, তাও হেফাজতের আবেদন?'
নয়াদিল্লি : হেফাজত শেষে অনুব্রতকে আজ রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হল আজ। সূত্রের খবর, ইডির তরফে ১১ দিন হেফাজতে নিতে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করলেন, 'হেফাজতে পেয়েও মাত্র ২ ঘণ্টার জেরা, তাও হেফাজতের আবেদন?' । এখনও চলছে আদালতে সওয়াল জবাব।
এবার, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ২০ কোটি টাকা নগদ ব্য়াঙ্কে ডিপোজিটের দিকে নজর কেন্দ্রীয় সংস্থার। ED সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্য়দের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অ্য়াকাউন্টে, বিভিন্ন সময়ে মোট ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছিল। ২০১৬ থেকে ২০২০, এই ৫ বছরে বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে ২০ কোটি নগদ টাকা।
আরও পড়ুন :
অনুব্রত কন্যাকে দিল্লিতে তলব ED র, এবার মুখোমুখি বসানো হবে বাবা-মেয়েকে
ED সূত্রে দাবি, সুব্রত বিশ্বাস নামে প্রাক্তন এক ব্য়াঙ্ককর্মী বয়ান দিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত মণ্ডল, বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে টাকা পাঠাতেন। প্রায় ৬ কোটি টাকা নগদ পাঠিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হয়েছিল। ED সূত্রে খবর, এর মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইস মিল ও বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানির অ্যাকাউন্টও। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে বলে ED সূত্রে দাবি। এই ২০ কোটি নগদ টাকা কোথা থেকে এল? এগুলো কি গরুপাচারের টাকা? তারই উত্তর খুঁজছে ED।
গরুপাচারকাণ্ডের কালো টাকা সাদা করতে কেনা হয়েছে বিপুল সম্পত্তি। এমনটাই মনে করছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখিয়ে এই জমি কেনাবেচা হয়েছে। যেমন, ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দেখানো হয়েছে ৮ লক্ষ টাকায় কেনা। ২০১৩ থেকে ২২-এর মধ্যে অনুব্রত-সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রো কেমের নামে ৯ কোটি ৭১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার সম্পত্তি কেনা হলেও তার ডিড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৬ কোটি টাকা। ইডি-র দাবি, এভাবে অনুব্রত বোলপুরের গয়েশপুর মৌজায় ৩০৪ শতক জমি নগদ ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকায় কিনে ধাপে ধাপে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। প্রথম ধাপে সোয়া ৬ শতক জমি বিক্রি করা হয়েছিল ১ কোটি ৬৩ লক্ষেরও বেশি টাকায়। পরে দফায় দফায় বাকি জমি বিক্রি করেছেন কেষ্ট। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করতেই এভাবে সম্পত্তি বেচাকেনা হয়েছে বলে ইডি-র সন্দেহ।