Bankura Murder Case: প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেছিলেন স্ত্রী, ইন্দাসে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২ অভিযুক্তের
Bankura News: অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ইন্দাস থানার পুলিশ। পরে স্বামীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে ইন্দাস থানার পুলিশ।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরে নিজের স্বামীকে খুন করেছিলেন। সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকই। এবার ২০২১ সালে ইন্দাসের (Bankura Indas) সেই খুনের ঘটনায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ১ মে রাতের বেলায় ইন্দাস থানার ত্রিশালনে নিমাই দুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ইন্দাস থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে নিমাই দুলেকে। কিন্তু এরপরই নিমাই দুলের ছেলে ইন্দাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাঁর মা তোতন দুলে এবং তাঁর প্রেমিক সঞ্জয় ঘোষের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে ইন্দাস থানার পুলিশ। পরে স্বামীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে ইন্দাস থানার পুলিশ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে বুধবার অভিযুক্ত তোতল দুলে ও সঞ্জয় ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে চন্দননগরের কুণ্ডুঘাটে ফাঁকা বাড়িতে ৬ বছরের শিশুর রহস্যমৃত্যু। ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ডাকাতরা, দাবি মৃত শিশুর পরিবারের। আলমারি খোলা, টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে বলে দাবি। মৃত শিশুর নাম নিখিল বিশ্বাস। বুধবার শিশুর বাবা কাজে গেছিলেন। শিশুর দিদিকে স্কুল থেকে আনতে যান মা। পরিবারের দাবি, সেই সময় টেলিভিশনে কার্টুন দেখছিল শিশু। মা ফিরে এসে শিশুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের দাবি, আলমারি ভাঙা ছিল। টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে। ডাকাতি করতে এসে শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কীভাবে মৃত্যু, জানতে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যখন উত্তাল শহর কলকাতা, সেই সময় জয়নগরে ন'বছরের নাবালিকাকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল মেয়েটি। সেই সময় তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। সেই নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠেন। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি, অগ্নিসংযোগও করা হয় পুলিশ ফাঁড়িতেও। অবশেষে সেই মামলায় মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। শুক্রবার সাজা ঘোষণা হবে। ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে। এর পর চার্জগঠন করা হয়। মোট ৬৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।