Narendra Modi: ২০২৩ সালে ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে, চার বছর আগেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ মোদির!
No Confidence Motion: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে ২০১৮ সালেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস, তেলুগু দেশম পার্টি।
নয়াদিল্লি: রাজনীতিক হিসেবে কৌশলী উপমা জুড়েছে তাঁর নামের পাশে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি ভবিষ্যদ্বাণীও করতে পারেন (Narendra Modi)! জোর জল্পনা সোশ্যা, মিডিয়ায়। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে কংগ্রেস এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি। এমন কিছু ঘটতে পারে বলে ২০১৯ সালেই মোদি ভবিষ্যদ্বাণী করে রেখেছিলেন বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। (No Confidence Motion)
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে ২০১৮ সালেও কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস এবং তেলুগু দেশম পার্টি। সেবার ১৯৯ ভোটে আস্থাভোটে জয়ী হয় মোদি সরকার। সেই সময় লোকসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন মোদি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যেমন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালেও বিরোধীরা তা করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন।
চার বছর আগে লোকসভায় দাঁড়িয়ে মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "আমি আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখতে চাই। ভাল করে প্রস্তুতি নিন, যাতে ২০২৩ সালেও আবার অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন।" মোদির এমন মন্তব্যে সেই সময় বিজেপি-র সাংসদ-মন্ত্রীরা সকলে হেসে উঠেছিলেন। তার প্রতিবাদে কংগ্রেস মোদিকে অহঙ্কারী বলে কটাক্ষ করে।
এর পাল্টা আরও তীব্র শেলে কংগ্রেসকে বিঁধতে শুরু করেন মোদি। বলেছিলেন, "অহঙ্কারের জন্যই ৪০০ থেকে ৪০ হয়ে গিয়েছেন আপনারা। আমরা জনসেবা করে ২ আসন থেক আজ এখানে এসে পৌঁছেছি।" চার বছর আগে মোদির সেই মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই মোদি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন বলে দাবি করছেন তাঁর অনুগামীরা। (Viral Video)
मोदी जी की राजनीतिक सूझ बूझ पर कभी शक मत करना। pic.twitter.com/F3iKC6dhyf
— Amit Malviya (@amitmalviya) July 25, 2023
আরও পড়ুন: No Trust Motion: মণিপুর হিংসা নিয়ে কোণঠাসা কেন্দ্র, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল কংগ্রেস
মণিপুর হিংসার পর দু'মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও, কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছেন তাঁরা। কিন্তু সরকারের তরফে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি এখনও। তাতে মঙ্গলবার রাত থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা জোরাল হয়ে ওঠে। সেই গুঞ্জন চলাকালীনই চার বছর আগে, মোদির ভাষণের ওই অংশ ট্যুইটরে পোস্ট করেন বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, 'মোদিজির রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধি নিয়ে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না'। সেটিই এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সর্বত্র।
এবার কংগ্রেস এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতির তরফে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব, যা গ্রহণ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আস্থাভোট কবে হবে, তার দিন ক্ষণ যদিও ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কংগ্রেসকে নিশানা করতে শুরু করেছেন বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীরা। যদিও কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন না। সংসদে দেখাও দিচ্ছেন না তিনি। তাঁকে সংসদে হাজির করতে এছাড়া উপায় ছিল না।