Vladimir Putin: ঝাঁঝালো রুশ আক্রমণে বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনের একাংশ, নিহত ১১
Russian Strike On Kyiv:ফের ইউক্রেনের আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মারণ-আক্রমণ। সংবাদসংস্থা এপি জানায়, ডাউনটাউন কিয়েভ-সহ একাধিক শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে এসেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।
মস্কো: ফের ইউক্রেনের (ukraine) আকাশে রুশ (russian) ক্ষেপণাস্ত্রের (missile) মারণ-আক্রমণ। সংবাদসংস্থা এপি জানায়, ডাউনটাউন কিয়েভ-সহ একাধিক শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে এসেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুতিনের (vladimir putin) দাবি, ক্রিমিয়া উপসাগরীয় অঞ্চলগামী একটি সেতুতে যে ভাবে 'জঙ্গিহানা' (terrorist action) চালিয়েছে ইউক্রেন, তার জবাবেই এই ঘাতক এয়ারস্ট্রাইক।
ধ্বংসের ছবি...
পুতিন বলেন, 'ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণ জঙ্গিহামলার নমুনা। এই হানার পিছনে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী হাত রয়েছে। তুরস্কের গ্যাসের পাইপলাইনও উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন...রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন আক্রমণ জারি থাকলে আরও কড়া জবাব আসবে।' হঠাৎ এমন হামলা মস্কোর সামরিক প্রতিক্রিয়া কৌশলে বড় বদল, মেনে নিয়েছে ইউক্রেনের সেনাকর্তারাও। কিয়েভের দাবি, সকাল সওয়া আটটা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু হয়েছে এদিন। অন্তত পাঁচটি বড় বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী শহর, জানায় সংবাদসংস্থা এএফপি। নয় নয় করে অন্তত ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে এসেছে রাশিয়ার দিক থেকে। ইউক্রেনের রাজধানীর শক্তি পরিকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়াই মূল লক্ষ্য ছিল এদিনের হামলার। দিকে দিকে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন। আক্রমণের অভিঘাত তুলে ধরতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও-ও শেয়ার করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, কালো, থিকথিকে ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছে কিয়েভের এক বসতি এলাকা। ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে বিস্ফোরণের পরই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াল মস্কো। পুতিনের দাবি, ওই সেতু উড়িয়েছেন ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা। মস্কো মনে করে, এই মুহূর্তে ওই এলাকা তাদের দখলে। তাই হামলার জবাব দিতে পাল্টা কড়া আক্রমণ কিয়েভের মাটিতে।
অন্ধকারে এলাকা...
এদিনের রুশ হামলার পর অন্তত চারটি জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। লিভ, পোল্টাভা, সুমি এবং টারনোপিল-এই মুহূর্তে অন্ধকারে ডুবে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ইউক্রেনের আরও কিছু অংশ। জার্মানি জানিয়েছে, কিয়েভকে দ্রুত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠাবে তারা। ঘটনায় কড়া বার্তা ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল মাকরঁ-ও। পরিস্থিতিতে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে ভারত। দ্রুত যুদ্ধ থামিয়ে কূটনীতি ও আলোচনার পথে ফেরার আর্জিও জানানো হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে।
আদৌ কি সেই পথে হাঁটবে রাশিয়া-ইউক্রেন?
আরও পড়ুন:'কোহলির প্রতিভা রাতারাতি ফুরিয়ে যেতে পারে না,' বিশ্বকাপে ভারতের গেমচেঞ্জার বেছে নিলেন সৌরভ