Aurobindo Ghoshe : আজ অরবিন্দ ঘোষের জন্মদিন, তাঁর কিছু স্মরণীয় বাণী
ভারতীয় যুব সমাজকে নিজের লেখা, বক্তব্যের মাধ্যমে বিপ্লবী মতাদর্শে দীক্ষিত করার কাজ করেছেন তিনি

কলকাতা : আজ ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। গোটা দেশে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। আর আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা অরবিন্দ ঘোষ। তাঁর বাবা ছিলেন চিকিৎসক কৃষ্ণধন ঘোষ। মা স্বর্ণলতা দেবী ছিলেন রাজনারায়ণ বসুর কন্যা। দার্জিলিংয়ের ইংরেজি স্কুলে লেখাপড়ার সূত্রপাত তাঁর। এরপর পড়াশোনা ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডে থাকার সময়ই ইতালি ও আয়ারল্যান্ডের ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতে ফেরার পর। ১৮৯০-তে কংগ্রেসের নরমপন্থী আন্দোলের কট্টর সমালোচনার মধ্য দিয়ে।
সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদী মতবাদের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ভারতীয় যুব সমাজকে নিজের লেখা, বক্তব্যের মাধ্যমে বিপ্লবী মতাদর্শে দীক্ষিত করার কাজ করেছেন তিনি। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলনে উজ্জ্বল ভূমিকার জন্য তিনি দেশের প্রথম সারির নেতা হিসেবে পরিচিত পেয়েছিলেন তিনি। দেশমাতৃকার মুক্তিই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। অরবিন্দ জাতীয়তাবাদকে ধর্মের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ততদিনে বিপ্লবী গুপ্ত সংগঠনগুলির নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। গীতার নিষ্কাম কর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি তরুণ সমাজকে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। ১৯০৮-এ আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ১৯০৯ সালে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান অরবিন্দ। কিন্তু জেলে থাকার সময়ই তাঁর রাজনৈতিক ভাবাদর্শে আধ্যাত্মিকার সংস্পর্শ ঘটে। তাঁর জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়। আধ্যাত্মিকতার টানেই তিনি ১৯১০-এ রাজনীতি ত্যাগ করে পুদুচেরি চলে যান এবং সেখানে ধর্ম প্রচার আশ্রম প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বিপ্লবী অরবিন্দ পরিণত হন ‘ঋষি অরবিন্দে’। ১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।
তাঁর কিছু স্মরণীয় বাণী-
-‘স্বাধীনতা ও স্বাধিকার মানুষের মানুষের সহজাত অধিকার’
-‘দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়,তবে আমি অপরাধী’
-‘কোনও দেশ বা জাতিই এখন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না’।
-‘যেমন সারা সংসারের পরিবর্তন হচ্ছে, তেমনই ভারতকেও পরিবর্তিত হতে হবে’।
-‘ভারত বৈষয়িক সমৃদ্ধিহীন। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার উচ্ছ্বাস তার জীর্ণ দেহে বাস করে।‘
-‘পড়াশোনা কর, লেখ, এগিয়ে যাও, কাজ করো, একমাত্র মাতৃভূমির জন্য, মায়ের সেবার জন্য।‘
-‘ভারত যদি পাশ্চাত্য সভ্যতার ভালো দিকগুলি গ্রহণ করে এবং নিজের ক্ষমতা ধ্বংস হতে না দেয়, তাহলে এর সংমিশ্রণে এখানে যে সংস্কৃতি বেরিয়ে আসবে তা সমগ্র বিশ্বের জন্য উপকারী হবে। সেই সংস্কৃতি হয়ে উঠবে বিশ্বের পরবর্তী সংস্কৃতি।‘
-‘দেশ নদী,মাঠ, জমি, পর্বত, বনের মতো বস্তুগত কোনও বিষয় নয়। আমি আমার দেশকে মাতৃজ্ঞানে আরাধনা করি। ‘
-‘শান্তিই প্রথম শর্ত, যা ছাড়া কোনও কিছুই স্থিতিশীল হতে পারে না।‘






















