Balochistan Train Hijack : ঘণ্টার পর ঘণ্টা লড়াই, অবশেষে শতাধিক পণবন্দিকে উদ্ধার করল পাক সেনা, মৃত্যু অনেকের
রেললাইনে বিস্ফোরক রেখে হামলা। ২০ পাক সেনার মৃত্যু। কীভাবে উদ্ধার পণবন্দিদের ।

পাকিস্তানের বালুচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনায় বড় আপডেট । আটক থাকা শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করল পাক নিরাপত্তা বাহিনী। দাবি পাকিস্তানের । জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের পর মঙ্গলবার রাতেই বিএলএ দাবি করে, তারা মহিলা শিশুদের মুক্তি দিয়েছে। তখনও পর্যন্ত পণবন্দি ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, পুলিশ, আইএসআই এবং এটিএফের সৈন্য সহ ১৮২ জন । এরপর বিএলএ ফের হুমকি দেয়, সেনাবাহিনী যত আক্রমণ করবে, আটকে থাকা পণবন্দিদের হাল ততই খারাপ হবে। তাদের মেরে ফেলতেও হাত কাঁপবে না, হুমকি দেয় হাইজ্যাকাররা। আর এই মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দায়ী থাকবে।
তবে তারপরই পাল্টা আক্রমণে নামে পাক সেনাবাহিনী। শুরু হয় গুলি , পাল্টা গুলি ছোঁড়া। নজর রাখতে ওড়ানো হয় ড্রোন। আকাশপথেও হেলিকপ্টার থেকে আক্রমণ করা হয়। অবশেষে বালুচ লিবারেশন আর্মির হাইজ্যাক করা জাফর এক্সপ্রেস থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১০৪ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে। তবে ট্রেনে আটকে থাকা বাকি যাত্রীদের কী হাল, তা জানা যায়নি। আদৌ কি তারা বেঁচে আছেন?
পাক সেনার দাবি, ট্রেনের ভিতরে যাত্রীদের মধ্যে মিশে রয়েছে সুইসাইড বম্বার, ট্রেন ওড়ানোর হুমকি দিচ্ছে তারা, যাত্রীদের ঢাল করা হচ্ছে। ১০৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আহত ৫৭ জন। এখনও ট্রেনে দেড়শোর কাছাকাছি মানুষ পণবন্দি হয়ে রয়েছেন। বালুচ লিবারেশন আর্মি, BLA-র দাবি, গুলিতে নিহত হয়েছে ৩০ জন পাক সেনা। ১৬ জন জঙ্গিও নিহত বলে পাল্টা দাবি করেছে পাক সেনাবাহিনী।
দাবি, অভিযানে এখন পর্যন্ত ২০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। সূত্রের খবর, হাইজ্যাকাররা আফগানিস্তানে থাকা মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছে। পণবন্দি করার পর নারী ও শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল তারা। পরে অবশ্য শিশু ও মহিলাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়।
পাক নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে ট্রেনটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। উভয় পক্ষ থেকে টানা গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। পাক সংবাদমাধ্য সূত্রে খবর, এমন একটি জায়গায় এই অপারেশন চালানো হয়েছে যে, পাক সেনার পক্ষে অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সকালে প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস। মরুভূমির মাঝে পনির স্টেশনের কাছে পাহাড় কেটে তৈরি ১৭টি টানেলের মধ্যে দিয়ে গেছে রেললাইন। সূত্রের খবর, ৮ নম্বর টানেলের কাছে জাফর এক্সপ্রেসের উপর হামলা চালায় বালুচ লিবারেশন আর্মি। বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয় রেললাইন। যার জেরে থেমে যায় ট্রেন ।
এরপরই গুলি চালিয়ে ট্রেনের দখল নেয় BLA। এই ট্রেনে একাধিক পাক সেনা অফিসার ও গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর পদস্থ কর্তা ছিলেন। ট্রেনটিতে মূলত বালুচিস্তানে কর্মরত পাক সেনা এবং ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাই এটিকে বালুচ বিদ্রোহীরা নিশানা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
