Bangladesh Bans Jamaat: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হল জামাত, ঘোষণার দু'দিন পরই সিদ্ধান্ত কার্যকর
Sheikh Hasina: জামাতকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছিল ঢাকা।
ঢাকা: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হল জামাত-ই-ইসলামি সংগঠন। দু'দিন আগেই যদিও ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা সরকারের সিলমোহর পড়ল সেই সিদ্ধান্তে। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ২০০-র বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে বাংলাদেশে। হিংসা, রক্তপাত ঘটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই আবহেই জামাতকে নিষিদ্ধ করল হাসিনা সরকার। (Bangladesh Bans Jamaat)
জামাতকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছিল ঢাকা। বৃহস্পতিবার সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জামাতকে নিষিদ্ধ করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সন্ত্রাসদমন আইনের ১৮ (১) ধারা প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ করা হল জামাতকে। বলা হয়েছে, জামাত-ই-ইসলামি সংগঠন, তাদের ছাত্র সংগঠন, শাখা সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল, সব কিছুই নিষিদ্ধ হল বাংলাদেশে। (Sheikh Hasina)
যে আইনের বলে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাতে বলা রয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন সন্ত্রাসী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ মেলে, সেক্ষেত্রে সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের নিষিদ্ধ করতে পারবে। সেই আইনের প্রয়োগেই বাংলাদেশে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হল। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সম্প্রতি বাংলাদেশে ২০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। সেই আবহে জামাতের দিকে বরাবরই আঙুল তুলছিল হাসিনা সরকার। এবার নিষিদ্ধ করা হল।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: গুমটিতে ঢুকে চটি সেলাই করেছিলেন রাহুল, দাম উঠল ১০ লক্ষ টাকা, বেচতে নারাজ দোকানদার
১৯৪১ সালে সৈয়ক আবুল আলি মাওদুদির জামাতের প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত চার বার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয় জামাত। ভারতভাগের পর ১৯৫৯ এবং ১৯৬৪ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানেও নিষিদ্ধ হয় জামাত। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরও জানাতকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে রাজনৈতি দল হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে জামাত। তাদের ছাত্র সংগঠনির নাম হয় ইসলামি ছাত্রশিবির। ২০১৮ সালে হাইকোর্টের একটি রায়ে জামাতকে কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন বলে উল্লেখ করা হয়। এর পর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ওই সংগঠনের নাম নির্বাচনী তালিকা থেকে বাদ দেয়।
তবে জামাতকে নিষিদ্ধ করার নেপথ্যে হাসিনা সরকারের অন্য উদ্দেশ্য় রয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের একাংশের। তাঁদের দাবি, সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি এবং জামাত-ই-ইসলামির ইন্ধন রয়েছে বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছিল হাসিনা সরকার। এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর উপর গুলি চালানো, তাঁদের উপর হিংসাত্মক আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যখন চাপসৃষ্টি হচ্ছে, সেই সময় ইচ্ছাকৃত ভাবেই জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সরকার।