Sheikh Hasina: হাসিনাকে কেন আশ্রয়? অবিলম্বে প্রত্যর্পণের দাবি, ভারতের সমালোচনায় BNP
Sheikh Hasina Extradition: দিল্লির কাছে হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছেন BNP-র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির।
নয়াদিল্লি: শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি দাবি জানাল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (BNP). স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদের নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া বিপ্লবকে হাসিনা উপড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি BNP-র। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় হাসিনার উপস্থিতি কাম্য বলে ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাল BNP. (Sheikh Hasina)
দিল্লির কাছে হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছেন BNP-র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "আপনাদের (ভারত) কাছে আমাদের অনুরোধ, আইনি পথে ওঁকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিন। দেশের মানুষ ওঁর বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওঁকে আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দিন।" (Sheikh Hasina Extradition)
হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারতের সমালোচনাও করেন আলমগির। হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আলমগির বলেন, "ছাত্রদের বিপ্লবের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আপসারিত, ফ্য়াসিবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে। ওখান থেকেই হাসিনা বাংলাদেশের এই জয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছেন।"
সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে যখন উত্তাল বাংলাদেশ, সেই সময় গত ৫ অগাস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি। অন্য কোনও দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন বলে গোড়ার দিকে জল্পনা চললেও, সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি এখনও পর্যন্ত। এর পর বাংলাদেশে নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সেই আবহেই হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছে BNP. আলমগির বলেন, "ফ্যাসিবাদী সরকার স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্বল করে দিয়েছে, দেশ পিছিয়ে গিয়েছে ১৫ বছর।"
আলমগিরের দাবি, হাসিনা বাংলাদেশের ঘাড়ে ১৮ লক্ষ কোটি (বাংলাদেশি মুদ্রা) ঋণ চাপিয়ে গিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে নির্বাচন করিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়াই লক্ষ্য। আওয়ামি লিগ নামক আবর্জনাও পরিষ্কার করতে সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেন আলমগির।