Bangladesh News: 'পুলিশকে সময়ে ফোন করা হয়নি, পদত্যাগ করিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয় দীপুকে', চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
Bangladesh Unrest: স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন দীপু। ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন।

ঢাকা : বীভৎস, কুৎসিত, নৃশংস ! কোনও শব্দই যেন যথেষ্ট নয়। নৈরাজ্যের বাংলাদেশে উন্মত্ত দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে খুন করেছে ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দা দীপুচন্দ্র দাসকে। নারকীয়ভাবে হত্যার পর সবার চোখের সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মৃতদেহ। অভিযোগ উঠেছে, গোটা ঘটনাই হয়েছে ভালুকা থানার পুলিশের সামনেই। এবার আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। ঘটনার দিনে, দীপুর কারখানার ম্যানেজমেন্ট যদি সময়ে পুলিশকে ফোন করতেন, তাহলেই তাঁর প্রাণ রক্ষা করা যেত। এমনই তথ্য সামনে আসছে। কিন্তু, পুলিশকে ডেকে হিন্দু যুবককে বাঁচানোর পরিবর্তে, কারখানার সুপারভাইজার তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন। তাঁকে কর্মস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এবং উত্তেজিত মুসলিম জনতার হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। যারা তাঁকে পিটিয়ে খুন করার পর দেহ ঝুলিয়ে দেয় এবং পরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে দীপুকে পিটিয়ে খুনে শামিল হন তাঁর সহকর্মীরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, দীপুর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের পক্ষে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন কারখানার আধিকারিক-কর্মীরা। ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ ও ভিডিও খতিয়ে দেখার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন দীপু। ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। হাসিনা-বিরোধী ছাত্রনেতা শারিফ ওসমান হাদির খুনের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশজুড়ে নৈরাজ্য়ের আগুন জ্বলতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, রাত ৯টা নাগাদ বিক্ষোভের মাঝে পড়ে যান দীপু দাস। তাঁকে পিটিয়ে খুন করে দেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নারকীয় এই ঘটনায় দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন নিহত দীপু দাসের স্ত্রী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে অকূলপাথারে দীপু দাসের বাবা-মা, ভাইয়েরাও।
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে খুন এবং তারপর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার কলকাতায় মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা। শঙ্খনাদের মধ্যে দিয়ে...ত্রিশুল হাতে, গেরুয়া পতাকা নিয়ে শুরু হয় মিছিল। তাতে পা মেলালেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক। নিজাম প্যালেস থেকে শুরু হয়ে, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের উদ্দেশে এগোয় মিছিল। বেগবাগান মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকালে, সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা।
দীপু দাসের হত্যার প্রতিবাদে কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও মিছিল করে বিশ্বহিন্দু পরিষদ-সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। বাংলাদেশের ভিসা অফিসের পোস্টার খুলে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ মিছিল হয় হুগলিতেও। ব্যান্ডেল থেকে চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে জাগ্রত হিন্দু সমাজের সদস্যরা। প্রতিবাদ মিছিল হয় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরেও।






















