Bangladesh Unrest: এবার হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর শপথ! অশান্ত বাংলাদেশ শান্ত হবে কবে?
Muhammad Yunus: আজ ঢাকায় ফেরার কথা মহম্মদ ইউনূসের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা।
কলকাতা: সেনার অধীনেও নৈরাজ্য বহাল বাংলাদেশে। হত্যাপুরী বাংলাদেশে লাশের সারি, হিংসার ক্ষত পদ্মাপারে। কোথাও সেতু থেকে ঝুলছে মৃতদেহ, কোথাও হোটেলেই পুড়িয়ে খুন!এদিনই ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে আরও ২১টি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ পুলিশ কর্মী। আওয়ামি লিগের সদস্যদের হুমকি, খুনের অভিযোগ উঠছে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে। আবার এই সময়েই বাংলাদেশে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার শপথ নেওয়া হল।
এই নিয়ে ৩ দিনে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়েছে ৬৯টি মৃতদেহ। উত্তরা পূর্ব থানায় হামলার ঘটনায় নতুন করে ১৩ জনের দেহ উদ্ধার। সোমবারের হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩। অশান্ত বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লায় আওয়ামি লিগের কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে ৬জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কুমিল্লার তিতাস থানায় ২ পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত ২৯ জন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঢাকায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্নারেও আগুন, মুজিবুর রহমান ও হাসিনার ছবিতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখনও জ্বলছে। ঢাকা মেডিক্য়াল কলেজে জমছে লাশের স্তূপ। একাধিক জায়গায় জেল ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। কাশিমপুর ও কুষ্টিয়ায় জেল ভেঙে পালিয়েছে আড়াইশোরও বেশি বন্দি। পাল্টা গুলিতে মৃত্য়ু হয়েছে ৩ জঙ্গি-সহ ৬ জনের। ময়মনসিংহে জাদুঘরে হামলা চালিয়েছে প্রায় শ-খানেক বিক্ষোভকারী।
শেখ হাসিনার পদত্য়াগ করে দেশত্যাগ। তারপরে সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়া। কার্ফুও উঠে গিয়েছে। দুদিনেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও অশান্ত-অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ।
অভিযোগ, হাসিনার দলের নেতাদের বেছে বেছে বাড়িতে ভাঙচুর-খুন হচ্ছে। একাধিক জায়গায় সংখ্য়ালঘুদের ওপর অত্য়াচার হচ্ছে। বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, ঢাকা মেডিক্য়ালে আনা হয়েছে আরও ২১টি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। নিহতদের মধ্য়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। গত ৩ দিনে ঢাকা মেডিক্যালে আনা মৃতদেহের সংখ্য়া ৬৯। এরই মধ্যে ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের নাগরিক মহম্মদ হেলালুদ্দিন বলেছেন, 'দেশের পরিস্থিতি খুব ভাল নেই। যাঁরা আওয়ামি লিগ করত, শেখ হাসিনার দল যাঁরা করত, তাঁরা কেউ ঠিক নেই এবং ওখানে আদিবাসী সংখ্যালঘুদের উপরে যে নির্যাতন, চোখে না দেখলে হবে না।'
বাংলাদেশের অধিকাংশ থানাই এখন পুলিশ-শূন্য়। মঙ্গলবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বগুড়া সদর থানায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সদর সার্কেল অফিস ও সদর পুলিশ ফাঁড়ি। এর আগেও বাংলাদেশে থানায় ঢুকে পুলিশকর্মীদের হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। থানা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, নোয়াখালির সোনাইমুড়ি উপজেলায় হিংসায় ৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। তাঁদের মধ্য়ে ৩ জন পুলিশ কর্মী। কিশোরগঞ্জের সাদেকপুরে আওয়ামি লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ঢাকার ধানমণ্ডিতে অবাধ চলেছে লুঠতরাজ। ঢাকা আইনজীবী সমিতির মূল প্রবেশদ্বারের কাছে বঙ্গবন্ধু
কর্নারেও ভাঙচুর চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়, মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির তোড়জোড়ের মধ্যেই আওয়ামি লিগের সাংসদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে গা ঢাকা দিয়েছেন হাসিনা সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামি লিগের সাংসদ। অন্য়দিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ফের দেশে ফেরানোর শপথ নিয়েছে আওয়ামি লিগের আরেকটি অংশ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে দাঁড়িয়ে এই শপথ নেন আওয়ামি লিগের নেতারা। মুজিবর রহমানের সমাধির ওপর হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করেন, হাসিনার ওপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নেবেন। দেশে ফিরিয়ে আনবেন হাসিনাকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: শনির সাড়েসাতির প্যাঁচে পড়বে এই রাশি! দুঃসহ ভোগান্তি, প্রবল অর্থভাব এড়াতে থাকুন সাবধানে