Bangladesh News : অস্থির পরিস্থিতিতে নেই বিদেশী অতিথি, মাছি মারছে ঢাকার পাঁচতারা ! তালা পড়বে বাংলাদেশের হোটেল ব্যবসায়?
বাংলাদেশে হোটেল ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়। মাছি তাড়াচ্ছে ওপার বাংলার তারকাচিহ্নসম্বলিত হোটেলগুলি।
কলকাতা : অশান্ত বাংলাদেশ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে নতুন করে টালমাটাল পরিস্থিতি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের। ক্রমাগত অস্তিত্বরক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরা। মুখে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বললেও, ইউনূস সরকারের নাকের ডগাতেই চলছে অকথ্য হিন্দু-নিপীড়ন, ভারত-বিদ্বেষী বক্তৃতা। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী ইউনূসের তত্ত্বাবধানে থাকা দেশে এই সংখ্যালঘুদের ওপর এই অত্যাচার দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা থেকে ব্রিটেন, বিশ্বের তাবড় শক্তিধররা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হোটেল ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়। মাছি তাড়াচ্ছে ওপার বাংলার তারকাচিহ্নসম্বলিত হোটেলগুলি।
বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে হোটেল ব্যবসাতেও। অতিথির অভাবে খাঁ-খাঁ করছে রাজধানী ঢাকার পাঁচতারা হোটেলগুলি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। জুলাই বিদ্রোহ, গণ অভ্যুত্থানের পর ৫ অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতন। তারপরই হাসিনা বিরোধী জনতার ধ্বংসাত্মক উল্লাস। চরমে উঠেছে বাংলাদেশের নৈরাজ্য।
রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের ধাক্কায় মার খেয়েছে হোটেল ব্যবসা। রাজধানী ঢাকায় ৯টি পাঁচতারা হোটেল প্রায় অতিথি-শূন্য। আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপানের মতো দেশ তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করায় প্রভাব পড়েছে ঢাকার হোটেল ব্যবসায়। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ডেলি স্টার’ সূত্রে খবর।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি, সে- দেশে হোটেল পরিষেবা প্রদানকারীরা বলছেন, নয়টি পাঁচতারা হোটেল প্রতি রাতে প্রায় আড়াই হাজার অতিথিকে আপ্যায়ণ করতে পারে। সেখানে গুটিকয়েক অতিথিও হচ্ছে না ! জুলাই-অগাস্টেরএকেবারে উত্তাল অবস্থা সামাল দেওয়ার পর অক্টোবরে ব্যবসায় কিছুটা উন্নতি হয়েছিল, কিন্তু ফের সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হওয়া নভেম্বর থেকে বেহাল দশা হোটেল পরিষেবা সেক্টরে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি, সে- দেশে হোটেল পরিষেবা প্রদানকারীরা বলছেন, নয়টি পাঁচতারা হোটেল প্রতি রাতে প্রায় আড়াই হাজার অতিথিকে আপ্যায়ণ করতে পারে। সেখানে গুটিকয়েক অতিথিও হচ্ছে না ! জুলাই-অগাস্টেরএকেবারে উত্তাল অবস্থা সামাল দেওয়ার পর অক্টোবরে ব্যবসায় কিছুটা উন্নতি হয়েছিল, কিন্তু ফের সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হওয়া নভেম্বর থেকে বেহাল দশা হোটেল পরিষেবা সেক্টরে।
ডেইলি স্টারে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, সে দেশে হোটেল ব্যাবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অন্য দেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। সাধারণত হোটেলকক্ষগুলির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ঘরই বুক করেন ব্যবসায়ীরা। যেটা এই পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।হোটেলের ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। এই অবস্থা কব শুধরোবে তারও ঠিক নেই। কারণ হোটেল ব্যবসায়ীদের ধারণা , সেটা নির্ভর করে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার উপর ।অক্টোবরে ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও পরে বিভিন্ন ঘটনার পর ফের তলানিতে ঠেকেছে ব্যবসায়ীদের আসা-যাওয়া। বর্তমানে, মাত্র ১০ শতাংশ কক্ষ ব্যবসায়িকরা নিয়েছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।