কোভিড সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ী মহলকে বার্তা রাজ্যের
মঙ্গলবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ইন্ডিয়ান চেম্বার, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ভারত চেম্বার, মার্চেন্ট চেম্বার, সিআইআই, ফিকি , বিএনসিসিআই, কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন-এর সঙ্গে কথা হয় মুখ্য সচিবের।
কলকাতা : রাজ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। নির্বাচনের মাঝে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। পরিস্থিতি দেখে এবার ব্যবসায়িক মহলকে সতর্ক করল রাজ্য সরকার। বাণিজ্যিক সংগঠনগুলিকে দেওয়া হয়েছে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ব্যবসায়িক ও শিল্প মহলের কাছে কোভিড বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও 'ওয়ার্কপ্লেস ভ্যাক্সিনেশন'-এর বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংগঠনগুলিকে। এ প্রসঙ্গে 'কনফেডারেশেন ওফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসেসিয়েশন'-এর প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় ছোট ব্যবসায়ীদের বার্তা পাঠানো হয়েছে। যেখানে তাদের বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখতে বলা হয়েছে। বাজারকে কেন্দ্র করে ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এমনকী একদিন বাদ দিয়ে বাজার খোলার পরামর্শ দিয়েছে এই ছোট ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
রাজ্যের গতকালের করোনা বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮১৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। রাজ্যে নির্বাচন পরিস্থিতির মধ্যে বঙ্গে করোনার ঊর্ধমুখী গ্রাফ চিন্তায় ফেলেছে ওয়াকিবহাল মহলকে। নিত্যদিন রাজ্যে রাজনৈতিক দলের বিশাল জমায়েতে করোনা 'বিস্ফোরণের' আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। প্রায় কোনও জায়গাতেই মানা হচ্ছে না করোনা বিধি। বালাই নেই সামাজিক দূরত্বের।
সম্প্রতি সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে কলকতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়। যার উত্তরে কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সব জমায়েত বা সমাবেশেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সভায় ঢোকার আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে সকলকে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।উক্ত বিষয়গুলি দেখতে জেলাশাসক ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।পাশাপাশি করোনা বিধি মানতে রাজনৈতিক নেতাদেরও উদ্যোগ নিতে বলেছে হাইকোর্ট। জমায়েতে সবাই যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন সে বিষয়ে পাবলিককে সচতন করার কথা বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ
কতটা পালন হচ্ছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।