Hanskhali Case: শ্মশানে দেহ সৎকার, নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি, ছেলের কুকীর্তির কথাও জানতেন তৃণমূল নেতা! হাঁসখালিকাণ্ডে জানাল CBI
Hanskhali Case Update: হাঁসখালিতে নাবালিকার গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায়, মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালিকে একদিন আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, নদিয়া: হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali Case) ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালি (Samarendra Gayali) সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ছেলে ব্রজ কী করেছে তা সব জানতেন তৃণমূল নেতা (TMC)। ধৃতদের জেরা করে মিলেছে তথ্য, দাবি সিবিআই-এর (CBI)। সূত্রের খবর, হুমকি দিতে এবং ভয় দেখাতে নির্যাতিতার বাড়িতে লোক পাঠান মূল অভিযুক্তের বাবা। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেতা, খবর সূত্রের।
চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই-এর
ধৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদালতেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, সমরেন্দ্র গয়ালি প্রভাবশালী। নির্যাতিতা যাতে চিকিৎসা পরিষেবা না পায়, সেই ব্যবস্থাই করেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। শ্মশানে দেহ যাতে দ্রুত সৎকার করে ফেলা হয় এবং নির্যাতিতার পরিবার যাতে পুলিশের দ্বারস্থ না হয়, তার জন্য ভয় দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্তের বাবা সমরেন্দ্র। আদালতে তৃণমূল নেতার আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর মক্কেল। এমনকি তৃণমূল নেতার বাড়িতে সর্বক্ষণ পুলিশ ছিল। সিবিআই-এর পাল্টা দাবি, তৃণমূল নেতার বাড়িতে পুলিশ পোস্টিং তাঁর প্রভাবশালী হওয়ারই প্রমাণ।
হাঁসখালিতে নাবালিকার গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায়, মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালিকে একদিন আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, সমরেন্দ্র গয়ালি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: দাবদাহ কেটে তাপমাত্রা নামতে পারে ৪ ডিগ্রি, নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা
নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে, আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতার ছেলে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি এবং তাঁর তিন সহযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারকে হুমকি এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
অন্য দিকে, হাঁসখালিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে দলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং ধর্ষণের বাড়ছে বলে দাবি করে রাজ্যে ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ভিনরাজ্যের জেলে বন্দি রাখার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি, রাজ্যের জেলে বন্দি থাকলে অভিযুক্তরা মামলা প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।