Techie Kills Daughter: রোজগার নেই ৬ মাস, ২ বছরের সন্তানের খিদের জ্বালা দেখতে না পেরে 'খুন' বাবার
Karnataka News:৬ মাস ধরে রোজগার ছিল না। অবস্থা এমনই যে মেয়ের খাবারটুকুও জোগাড় করতে পারেননি। সন্তানকে খিদের জ্বালায় কষ্ট পেতে দেখে তাকে 'খুন'-ই করে দিলেন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এক তথ্য়প্রযুক্তিবিদ।
কোলার (গুজরাত): ৬ মাস ধরে কানাকড়ি রোজগারও (income) ছিল না। অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে ২ বছরের মেয়ের খাবারটুকুও (food0 জোগাড় করতে পারেননি। সন্তানকে খিদের জ্বালায় (hunger) কষ্ট (suffer) পেতে দেখে তাকে 'খুন'-ই (murder) করে দিলেন বেঙ্গালুরুতে (bengaluru) কর্মরত এক তথ্য়প্রযুক্তিবিদ (techie)। শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কোলার তালুকের কেনদাট্টি গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে তা জানতে পেরে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড় দুঁদে তদন্তকারীদেরও।
কী জানা গেল?
অভিযুক্তের নাম রাহুল পারমার। আদতে তিনি গুজরাতের বাসিন্দা হলেও বছরদুয়েক আগে স্ত্রী ভাব্যাকে নিয়ে বেঙ্গালুরু চলে এসেছিলেন। সেখানেই থাকতেন। পুলিশ জেনেছে, গত ৬ মাস ধরে রাহুলের কোনও রোজগার ছিল না। বিটকয়েনের ব্যবসায় ব্যাপক আর্থিক ধাক্কাও খেয়েছিলেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান রাহুল। একই দিন থেকে খোঁজ মিলছিল না ২ বছরের খুদেরও। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান ভাব্য়া। এর পরই প্রকাশ্যে আসে সবটা। তবে কিছুটা অদ্ভূত ভাবে। কেনদাট্টি গ্রামের একটি বিশাল দীঘিতে এক শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। দীঘির পাড়ে একটি নীল গাড়িও দাঁড়িয়ে ছিল বলে দাবি তাঁদের। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে খবর দেন গ্রামবাসীরা। দুইয়ে দুইয়ে চার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্য়কর তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, রাহুল স্বীকার করেছেন ওই গাড়িতেই মেয়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ খেলাধুলো করেন তিনি। আদর করেন তাকে। তার পর মেরে ফেলেন। টাকা ছিল না। তাই মেয়েকে খেতে দিতে পারছিলেন না। সেই 'অপারগতা' থেকেই খুন, বলে দাবি করেছেন রাহুল। সন্তানকে শেষ করার পর দীঘির জলে ডুবে আত্মঘাতী হওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি।
যেখানে খটকা...
একটি বিষয় অবশ্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে। সন্তানের খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পারাই যদি খুনের একমাত্র 'মোটিভ' হবে তা হলে চুরির ভুয়ো অভিযোগ কেন রুজু করলেন রাহুল? বাড়ি থেকে গয়না চুরি গিয়েছে, এই মর্মে বেঙ্গালুরু পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে কতটা অগ্রগতি হল, সেটা জানতে নিয়মিত পুলিশ স্টেশনেও আসতেন অভিযুক্ত তথ্য়প্রযুক্তিবিদ। কিন্তু তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল, তিনি নিজেই গয়না চুরি করে অভিযোগ লিখিয়েছেন। এর পরই তাঁকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ স্টেশনে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়। এটার সঙ্গে কি তাঁর সন্তানের পরিণতির কোনও সম্পর্ক রয়েছে? খুঁজছেন তদন্তকারীরা।