(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bihar Bridge Collapse:বিহারের আরারিয়ায় নদীতে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু
India News:বিহারের আরারিয়ায় নদীতে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের।
পটনা: বিহারের আরারিয়ায় বাকরা নদীতে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু (Bihar Under Construction Bridge Collapse)। ২০২০ সালে এই সেতুটিই ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছিল। চার জন মোটর সাইকেল-আরোহী-সহ মোট ১২ জন সেবার বাকরা নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। আরারিয়ার শিখটি ব্লক থেকে কুরসকট্টা ব্লক পর্যন্ত নির্মীয়মাণ ওই সেতুর কাজ ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনরায় চালু হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সেতু নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে। তারই জের এবারের ঘটনা। গত মার্চে, বিহারের ভেজা থেকে বকাউরের মধ্যে আরও একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়েছিল। সেই ধারায় সংযোজন আজকের ঘটনা।
যা যা শোনা যাচ্ছে...
বিহারে সেতু ভেঙে পড়ার বড়সড় তালিকা রয়েছে। ভেজা থেকে বকাউয়ের মধ্যে নির্মীয়মাণ সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়ে সে বার ১ জনের মৃত্যু হয়, জখম হন ৯ জন। ভাগলপুর এবং খাগারিয়া জেলায় যোগসূত্র তৈরির জন্য নির্মাণ হচ্ছিল সেতুটি। খরচ হওয়ার কথা ছিল আনুমানিক ১৯০০ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সেতুটির শিলান্যাস করেছিলেন। আদতে ঠিক হয়েছিল, ২০১৯ সালের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার মধ্যে এই ঘটনা।
এর আগে, ২০২২ সালের জুনে ভাগলপুরের আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জ নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। সেটি ছিল দ্বিতীয় বার ভেঙে পড়ার ঘটনা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আবার বুড়িগণ্ডক নদীতে অন্য একটি নির্মীয়মান সেতু ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণে এমন একের পর এক গাফিলতির ছবি দেখে পটনা হাইকোর্ট গত জুনে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কন্ট্র্যাক্টরের দিকে আঙুল তুলেছিল। বিশেষত, গত বছর জুনে সেতুভঙ্গের যে ঘটনা ঘটেছিল, সে জন্য সরকারি এবং ঠিকাদারের গাফিলতির সমালোচনা করেছিল হাইকোর্ট। একের পর এক এমন ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি পূর্ণেন্দু সিংহের বেঞ্চ। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, এই ভাবে জনগণের টাকা নষ্ট করা যাবে না। সামাজিক স্বার্থের কথা ভেবে প্রাকৃতিক সম্পদ কলুষিত করাও আটকাতে হবে, বলে পটনা হাইকোর্ট।
এই প্রসঙ্গত, গুজরাতের মোরবির ঘটনা হয়তো অনেকেরই মনে পড়ে যাবে। ২০২২ সালের অক্টোবরে, গুজরাতের মোরবিতে ভেঙে পড়েছিল একটি কেবল ব্রিজ। দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপরে শতাধিক মানুষ ছিলেন। ব্রিজ ভেঙে নদীতে বেশ কয়েকজনের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। মেরামতির ৪ দিনের মধ্যেই গুজরাতের মোরবিতে এই ব্রিজ ভাঙার ঘটনা আলোড়ন তৈরি করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন:১৪ বছর বয়সেই ওয়ার্ল্ড সিনেমার একনিষ্ঠ দর্শক, অভিনয় জগতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে নওয়াজ-কন্যা