'ভারতে মুসলিমদের হেয় করা হয়' রাষ্ট্রপুঞ্জে বিলাবলের মিথ্যাচার থামালেন মুসলিম সাংবাদিক! হয়ে গেল মুখ চুন
Bilawal Bhutto Zardari at UN : বিলাবলের মিথ্যাচার থামল এক বিদেশি সাংবাদিকের পাল্টা যুক্তিতে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই সাংবাদিকও মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর থেকে তাঁর তর্জন- গর্জনের সীমা ছিল না। ভারতকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে ছিলেন বেনজির পুত্র পাক পিপলস পার্টির সভাপতি বিলাবল ভুট্টো জারদারি। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে খেলেন বড় ধাক্কা। বিলাবলকে থামিয়ে দিলেন এক সাংবাদিক। পাল্টা প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জে গিয়ে মুখচুন হয়ে গেল তাঁর।
পাক পিপলস পার্টির সভাপতি বিলাওয়াল রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চ থেকে বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর থেকেই ভারতে মুসলমানদের ভিন্ন চোখে দেখা হচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। শয়তান প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। হেয়ো করার চেষ্টা হচ্ছে। এসব বলার মাঝেই তাঁর মুখোশ খুললেন এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক। তাঁর পাল্টা প্রশ্নে ভুট্টো এমন থমকে গেলেন, যেন পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না !
পাকিস্তানি নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো ইউএন-এর প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে ভারতে মুসলমানদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ভারত ইজরায়েলের থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছে । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নকল হওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারত শান্তির পথে চলছে না। এভাবেই ভারত বিদ্বেষী কথাবার্তা বলে যাচ্ছিলেন বেনজির-পুত্র। কিন্তু তাঁর মিথ্যাচার থামল এক বিদেশি সাংবাদিকের পাল্টা যুক্তিতে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই সাংবাদিকও মুসলিম ধর্মাবলম্বী।
তিনি বলেন, ....কিন্তু ভারতের অপারেশন সিঁদুরের ব্রিফিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একজন মুসলিম সেনা আধিকারিকই। এর পরে বিলাওয়াল ভুট্টো আর কিছু বলতে পারেননি এবং মাথা নাড়তে শুরু করেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রসঙ্গ টেনে সকলের সামনে বিলাবলের মিথ্যে বুলি বন্ধ করে দেন ভুট্টো।
ভারত,পহেলগাঁও হামলার পরই কূটনৈতিক স্ট্রাইক করে। স্থগিত করে দেয় ষাট বছরের পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি কার্যকলাপের জবাবে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। সেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত-কাশ্মীর ও পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি। কিন্তু পাকিস্তান আবার তার জবাবে টার্গেট করতে শুরু করে ভারতের সাধারণ মানুষদের। ছোড়ে গোলা-গুলি , গ্রেনেড। চেষ্টা করে ড্রোন হানার। যদিও পাকিস্তানের অপচেষ্টা তুখোড় ভাবে বানচাল করে ভারতীয় সেনা। সেই সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীও। এই সাংবাদিক বৈঠকগুলি ভারতের পরম্পরা , ঐতিহ্য ও আদর্শকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে।























