(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Post Poll Violence : ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে ১৩ অগাস্ট রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি বিজেপির
ভোট পরবর্তী অশান্তি ইস্যু নিয়ে জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি। আগামী ১৩ তারিখে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
কলকাতা : ভোট পরবর্তী অশান্তির মামলায় আগামীকালই শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিকে এই ইস্যু নিয়ে চলতি মাসেই জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি। আগামী ১৩ তারিখে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। কোভিড বিধি মেনেই প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, "নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যজুড়ে অনেক দুষ্ট শক্তি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দমন করা দরকার। সেই জন্য শুধু বিজেপি মহিলা মোর্চার মেয়েরাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে যত মহিলা রয়েছেন সবাই প্রতিবাদ জানাব। সারা রাজ্য জুড়ে মহিলাদের উপর অতাচার হয়েছে। কেন হল, সেই প্রশ্ন করব আমরা।"
যদিও বিজেপির মহিলা মোর্চার এই কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা সম্পূর্ণ মন গড়া এবং বাংলার শান্ত পরিবেশ বিঘ্নিত করার একটি প্রচেষ্টা। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। যা হিংসা বিজেপি ভোটের আগে বাংলাতে ছড়িয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং পুলিশের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।"
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। এদিকে এনিয়ে গত ১৫ জুলাই হাইকোর্টে জমা পড়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। আছে শাসকের আইন। পাশাপাশি, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশও করে কমিশন।
এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে হাইকোর্টে কড়া জবাব দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। আদালতকে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছে মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দল। মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দল পক্ষপাতদুষ্ট। এই দল রাজ্য সরকার বিরোধী। দলের সদস্যদের বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের দলে বেছে বেছে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্ট দেওয়ার জন্যই নিয়োগ। মিথ্যা সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য দল গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দলের থাকা-খাওয়া বাবদ রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্যকে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য গতকাল অর্থাৎ ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
এর পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিট গঠনের আবেদনের শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্টে। দুই সপ্তাহ পর মামলার শুনানি হবে বিচারপতি বিনীত সরণের বেঞ্চে। আগেই এই মামলায় কেন্দ্র, রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশনকে নোটিস জারি করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, ২ মে থেকে রাজ্যে হিংসার ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের আবেদন জানানো হয়েছিল। হিংসায় অভিযুক্তদের খুঁজে শাস্তি দিতে আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়।