মুক্তমনা ব্লগারকে হত্যার ছক আনসারুল্লা বাংলার, ঢাকাকে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
কলকাতা: সেন্ট্রাল আইবি তথ্য দিয়েছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-কে। তার ভিত্তিতে ট্র্যাক করে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তারপর ধৃতদের জেরা করে বাংলাদেশ প্রশাসনকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল এসটিএফ। আক্ষরিক অর্থে এই নিপুণ সমন্বয়ের সুবাদেই রোখা গেল সম্ভাব্য আততায়ী হানা! কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয়েছে আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিগোষ্ঠীর দুই সক্রিয় সদস্য। যে আনসারুল্লা বাংলা কুখ্যাত মুক্তমনা ব্লগারদের নির্মম হত্যার জন্য। রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান এবং অনন্তবিজয় দাস--এই চার ব্লগারকে খুনের অভিযোগ রয়েছে আনসারুল্লা বাংলার বিরুদ্ধেই! আর তাদের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ জানতে পেরেছে, আর এক বাংলাদেশি ব্লগারকে খুনের ছক কষেছিল জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লা বাংলা। তাঁর নাম, ফারুখ সাদিক। বাড়ি ঢাকায়। এসটিএফ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত দুই জঙ্গি জানায়, তাদের বলা হয়েছিল ফারুখ সাদিককে খুনের ছকের সময় যেভাবে রেকি করা হয়েছিল, কলকাতাতেও যেন ঠিক সেভাবেই রেকি করা হয়। তখনই এসটিএফ-এর অফিসাররা জিজ্ঞাসা করেন, ফারুখ সাদিক কে? ধৃত দুই জঙ্গি বলেন, ফারুখ সাদিক ব্লগার। এসটিএফ-এর অফিসাররা তখন জঙ্গিদের প্রশ্ন করেন, কেন তারা সাদিককে মারার প্ল্যান করছে? কে কে জড়িত আছে? তখন ধৃত জঙ্গিরা বলে, সোহেল নামে তাদের সংগঠনের এক সদস্য বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে, সে সাদিককে খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। সেই রেকি করেছিল। তৎক্ষণাৎ কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর তরফে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এসটিএফ জিজ্ঞাসা করে, আপনাদের ওখানে কি সোহেল নামে কাউকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে? বাংলাদেশ প্রশাসন জানায়, হ্যাঁ। তখন এসটিএফ তাদের বলে, ফারুখ সাদিক নামে এক ব্লগারকে খুনের পরিকল্পনা করেছে আনসারুল্লা বাংলা। সোহেল সেই ষড়যন্ত্রে জড়িত! এই খবর শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়ে বাংলাদেশ প্রশাসন। তৎপর হয় তারা। এসটিএফ-এর এই চাঞ্চল্যকর তথ্যই সম্ভবত বাংলাদেশে আরেক মুক্তমনা ব্লগারকে খুন হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল।