একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টে জমা ৭ কোটি, বিনিময়ে কমিশন, সিবিআইয়ের জালে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার
কলকাতা: শুরুটা হয়েছিল দিল্লি, বেঙ্গালুরু দিয়ে। এবার ‘কালো টাকা সাদা করা’র অভিযোগে কলকাতাতেও ধরা পড়লেন ব্যাঙ্ক কর্তা! অমিতেশ সিনহা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বড়বাজার শাখা ডেপুটি ম্যানেজার! এই ব্যাঙ্ক-কর্তার সঙ্গে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা আরও যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁরা হলেন সেলস ট্যাক্স কনসালটেন্ট সঞ্জয় জৈন এবং দালাল মনোজ মণ্ডল। কিন্তু কীভাবে এই চক্রের খোঁজ পেলেন গোয়েন্দারা? ক’দিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট খবর পায়, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বড়বাজার শাখায় প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে! তার ভিত্তিতেই, ডেপুটি ম্যানেজার অমিতেশ ও কনসালটেন্ট সঞ্জয়কে বুধবার আটক করেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ চলে রাতভর। খোঁজ মেলে এক দালালের। ভোররাতে তিনজনকেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বড়বাজার শাখায়, ৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে, এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা! ওই টাকার কিছুটা রেখে দিয়ে, বাকি টাকা আরটিজিএস করে, একাধিক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে! অর্থাত, ব্যাঙ্কের হাত ধরেই কালো টাকা হয়ে গিয়েছে একেবারে ধপধপে সাদা! সিবিআইয়ের অনুমান,যে টাকা কেটে রাখা হয়েছিল, সেটা কমিশন বাবদ নেওয়া হয়। যে সব অ্যাকাউন্টে আরটিজিএস করে টাকা পাঠানো হয়েছিল, তার সবিস্তার তথ্য চাওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কের কাছে। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি দমন আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার ও তার ২ সহযোগীকে বিচারভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, বড়বাজারের আরও কয়েকটি ব্যাঙ্ক গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে!