রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্রের নির্দেশ পালন নয়, ডব্লুবিসিএস অফিসারদের বার্তা মমতার

কলকাতা: আমলাদের নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আগেই সংঘাতে জড়িয়েছেন! এবার ডব্লুবিসিএস এগজিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও পরিষ্কারভাবে রাজ্য সরকারি অফিসার এবং সেইসঙ্গে পরোক্ষে কেন্দ্রকেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেঙ্গল ক্যাডারের আইএএস-দের দিল্লিতে কোন যুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে? কিংবা কেন্দ্রের অফিসারদের রাজ্যে প্রশিক্ষণে পাঠিয়ে নজরদারি কেন করা হচ্ছে, এই সব প্রশ্ন আগেই তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার ক্ষোভপ্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়গুলিকে তিনি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার চেষ্টা বলেই মনে করছেন! আর এই প্রেক্ষাপটেই ডবলুবিসিএএস অফিসারদের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও নির্দেশ এলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে করবেন না। রাজ্যের অফিসারদের প্রতি কেন্দ্রের বিশেষ নজরকে কোনওদিনই ভাল চোখে দেখেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভবত এই কারণেই দিল্লির তালিম সেরে রাজ্যে ফিরে এসেও প্রশাসনিক কাজের ময়দানে পুরোপুরি নামানো হয়নি ২০১৪ ব্যাচের ৮ জন আইএএস অফিসার। সূত্রের খবর, ওঁদের উপর থেকে গত তিন মাসের কেন্দ্রীয় ‘মগজ ধোলাইয়ের’ প্রভাব কাটাতেই রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহলের এই সিদ্ধান্ত। গত অগাস্টে আইএএস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেই এই নব্য আইএএসদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল কেন্দ্র। শুধু বেঙ্গল ক্যাডার নয়, গোটা দেশ থেকেই নতুন আমলাদের বিভিন্ন মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের যুক্তি ছিল, নব্য আইএএস-দের বিভিন্ন মন্ত্রকে কাজকর্ম সম্পর্কে পরিচয় করাতেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু, রাজ্য সরকার মনে করে, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে রাজ্য ক্যাডারের অফিসারদের ফের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার স্রেফ একটাই উদ্দেশ্য— মগজ ধোলাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আপত্তির জানালেও, মোদি সরকার ওই আইএএস-দের তিন মাস পরই ছেড়েছে। আর সম্ভবত সে কারণেই দিল্লির মগজধোলাই মাথা থেকে বের করতে এই আইএএসদের এখন কিছুটা বিশ্রামে রাখা হয়েছে বলে নবান্নের একটি সূত্রের দাবি। অপর একটি সূত্র আবার এই যুক্তি মানতে নারাজ।আর এরইমধ্যে এবার ডবলুবিসিএস অফিসারদের মুখ্যমন্ত্রীর এই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা।






















