আগামী বছর থেকে পঞ্চম, অষ্টম শ্রেণিতেও বাধ্যতামূলক বোর্ডের পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত আইসিএসই-র
কলকাতা: আগামী বছর থেকে দেশজুড়ে অভিন্ন পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা হবে আইসিএসই স্কুলগুলিতে। নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক এই পাঠ্যক্রম। তার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে শিক্ষকদের। নতুন পাঠ্যক্রমে পড়ুয়া কতটা শিখল, জানল - কেন্দ্রীয়ভাবে হবে তার মূল্যায়ন। অর্থাৎ, আইসিএসই-র আগেই বোর্ডের পরীক্ষা। কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী বছর থেকেই পঞ্চম এবং অষ্টমে বাধ্যতামূলক হবে বোর্ডের পরীক্ষা। কাউন্সিলের অভিন্ন প্রশ্নপত্রে হবে পরীক্ষা। উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব থাকবেন অন্য স্কুলের শিক্ষকরা। পরীক্ষায় পাস-ফেল না থাকলেও প্রত্যেক পড়ুয়ার রিপোর্ট কার্ড পাঠানো হবে স্কুলগুলিতে। ইংরেজি, বিজ্ঞান, অঙ্ক এবং সোশাল স্টাডিজ-- চারটি বিষয়েই বাধ্যতামূলক এই পরীক্ষা। ২০১৮ থেকে নয়া পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে একাধিক ঐচ্ছিক বিষয়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পারফর্মিং আর্ট, পঞ্চম থেকে অষ্টম সংস্কৃত এবং প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত যোগ। ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলগুলিতেও দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়ানোর কথা বলেছে রাজ্য সরকার। সরকারের সিদ্ধান্তকে কার্যত মেনে নিয়েছে আইসিএসই কাউন্সিল। এছাড়া কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চালু হবে ডিজিটাল সিলেকশন সাবজেক্ট টুল। যেখানে অনলাইনে বিষয় নির্বাচনের সুবিধা পাবে পড়ুয়ারা। আইসিএসই এবং আইএসসি-র পড়ুয়ারা পাবে ডিজিটাল লকারেরও সুবিধা। যেখানে শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে। তবে তার জন্য লাগবে আধার নম্বর। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে পাস-ফেল প্রযোজ্য নয়, সেখানে পঞ্চম ও অষ্টমে বোর্ডের পরীক্ষার যৌক্তিকতা কোথায়? কাউন্সিলের ব্যাখ্যা, নয়া বোর্ডের পরীক্ষা আইসিএসই--র আগে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালের মতো। পড়ুয়া কতটা প্রস্তুত, শিক্ষক কতটা শেখাতে পারলেন, পড়ুয়ার দুর্বলতা দূরীকরণে কী করা প্রয়োজন, তা বোঝারই নেট প্র্যাকটিস এই জোড়া বোর্ড-পরীক্ষা।