Junior Mridha Murder Case: রিয়ালিটি শো দেখে দু’বছরের বান্ধবী বিবাহিতা জানতে পেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে জুনিয়রের, সেই শুরু অশান্তির
পরিচয় সোশাল মিডিয়ায়, প্রথম সামনা-সামনি জিমে, মাঝে মাঝে একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া থেকে একে অপরের মনের কথা শেয়ার করা-- মডেল বান্ধবীর সঙ্গে এমনই সম্পর্ক ছিল বাড়ির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র ছেলের, দাবি পরিবারের
![Junior Mridha Murder Case: রিয়ালিটি শো দেখে দু’বছরের বান্ধবী বিবাহিতা জানতে পেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে জুনিয়রের, সেই শুরু অশান্তির Junior Mridha Murder Case Priyanka Chowdhury Relationship Conflict Junior Mridha Murder Case: রিয়ালিটি শো দেখে দু’বছরের বান্ধবী বিবাহিতা জানতে পেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে জুনিয়রের, সেই শুরু অশান্তির](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2021/01/07005211/web-junior-mridha-priyanka-split-still-01-060121.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পরিচয় হয় সোশাল মিডিয়ায় চ্যাট-এর মাধ্যমে। প্রথম সামনাসামনি আলাপ হয় জিমে। একসঙ্গে জিম করতে করতে ভাল বন্ধু হয়ে ওঠার পাশাপাশি, শুরু হয় মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া। একে অপরের মনের কথা শেয়ার করা।
পরিবারের দাবি, বান্ধবী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর সঙ্গে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়রের সম্পর্ক এভাবেই ক্রমে গভীর হয়ে ওঠে। কিন্তু দেড়-দু’ বছরের মাথায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে জুনিয়রের। সৌজন্যে একটি রিয়ালিটি শো।
সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ সালে জুনিয়র মৃধা খুনের ঘটনার তদন্তে এমনই তথ্য হাতে এসেছে। লাগাতার জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কা যে বিবাহিত, ২০০৯ সালে টিভির একটি প্রোগ্রামে প্রথম জানতে পারেন জুনিয়র। অনুষ্ঠানটি ছিল বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে একটি রিয়ালিটি শো।
ওই শোয়ে দ্বিতীয় হন প্রিয়াঙ্কা। ঝকঝকে বান্ধবীকে শাঁখা সিঁদুর পরা অবস্থায় দেখে চমকে যান জুনিয়র। ওই দিনই জুনিয়র ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বিবাদ হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত তরুণী জানিয়েছেন, জুনিয়রের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ের পর নিয়মিত কথা হত তাঁদের মধ্যে। একসঙ্গে একাধিক জায়গায় ঘুরতেও যেতেন তাঁরা।
কিন্তু তিনি যে বিবাহিত সে কথা একবারের জন্যও কেন পেশায় মডেল প্রিয়াঙ্কা তাঁর সফটওয়্যার ইঞ্জিনয়র বন্ধুকে বলেননি? তদন্তকারীদের দাবি, এই প্রশ্নের উত্তর প্রিয়াঙ্কা যা বলছেন তাতে অসঙ্গতি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১১-য় টালিগঞ্জের একাধিক প্রযোজকের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে প্রিয়ঙ্কার। ঘটনার দিন জুনিয়র-প্রিয়ঙ্কা ১৪ বার ফোনে কথা হয়। রাত ৯.২০-তে শেষবার দুজনের কথা হয়।
তদন্তকারীরা জানতে চান, কার কথায় ঘটনার দিন জুনিয়রকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা? কেন নিজে সেখানে যাননি? তিনি কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ধৃত প্রিয়ঙ্কাকে দফায় দফায় আজ সিবিআই হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি প্রিয়ঙ্কার। খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, জুনিয়রের সঙ্গে সম্পর্ককে ঘিরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। ত্রিকোণ সম্পর্কের ফাঁদে জড়িয়ে গিয়েই কি ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল? না কি জুনিয়র খুনের পিছনে কাজ করছে অন্য কোনও ফ্যাক্টর?
ধৃতের মুখ থেকে তা জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)