Salt Lake Skeleton-Case: সল্টলেক কঙ্কালকাণ্ডে রাঁচি থেকে গ্রেফতার মৃতের বোন
জীবন্ত অবস্থায় বাড়ির বড় ছেলেকে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে
![Salt Lake Skeleton-Case: সল্টলেক কঙ্কালকাণ্ডে রাঁচি থেকে গ্রেফতার মৃতের বোন Salt Lake Skeleton-Case Deceased Sister Arrested From Ranchi Salt Lake Skeleton-Case: সল্টলেক কঙ্কালকাণ্ডে রাঁচি থেকে গ্রেফতার মৃতের বোন](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2021/01/02015901/web-saltlake-skeleton-case-accused-still-010121.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: সল্টলেকের কঙ্কালকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয় বাড়ির বড় ছেলে অর্জুন মাহেশ্বরিয়াকে। তাঁর মৃত্যুর কারণ বার্ন ইনজুরি।
সেইসঙ্গে ওই ঘটনায় মৃতের বোন বৈদেহী মাহেশ্বরিয়াকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১০ ডিসেম্বর সল্টলেকের ২২৬ নম্বর এ জে ব্লকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বড় ছেলে অর্জুন মাহেশ্বরিয়ার পোড়া কঙ্কাল। খুনের অভিযোগে মৃতের মা গীতা ও ছোট ভাই বিদূরকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত নভেম্বর মাসে খুন করা হয় অর্জুন মাহেশ্বরিয়াকে। ঘটনার দিন মাথায় আঘাত করে তাঁকে অচৈতন্য করা হয়ে থাকতে পারে। তবে যখন গায়ে আগুন দেওয়া হয় তখন বেঁচে ছিলেন অর্জুন।
ওই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই ব্যবসায়ী সহ বেশ কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের আগে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ কেজি কাঠ কেনা হয়েছিল। অন্য একটি দোকান থেকে কেনা হয়েছিল ৪ কেজি কর্পূর।
এর থেকেই পুলিশের অনুমান, মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য কেনা হয়েছিল কাঠ। আর মানুষ পোড়ানোর তীব্র গন্ধ চাপা দেওয়ার জন্য কেনা হয়েছিল কর্পূর।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, ঘটনার দিন বাড়িতে অর্জুন ছাড়াও ছিলেন তাঁর মা গীতা, ভাই বিদূর ও বোন বৈদেহী। ঘটনার পর ঝাড়খণ্ডে চলে যান সবাই। পরে গীতা ও বিদূর ফিরে এলেও রাঁচিতে মাসির বাড়িতে থেকে যান বৈদেহী।
গীতার সঙ্গে স্বামী অনিল মাহেশ্বরিয়ার বিচ্ছেদ হয়েছে। তাই কলকাতায় ফিরে শিয়ালদার একটি হোটেলে ছোট ছেলেকে নিয়ে ওঠেন গীতা। পরে অর্জুনের খোঁজ না পেয়ে অনিলই পুলিশকে খোঁজ নিতে বলেন। তাতেই ফাঁস হয় কঙ্কালকাণ্ড।
শুক্রবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বৈদেহীকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বাইট- , বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। খুনের সময় অর্জুন বেঁচে ছিলেন। মোটিভ তন্ত্রসাধনা কি না দেখছি।
পুলিশ সূত্রে খবর, জবানবন্দি দিয়েছেন বৈদেহী। তা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)