Sidhu Moose Wala: তারকা ছেলেকে হারিয়ে ৫৮ বছর বয়সে ফের সন্তানধারণ, IVF নিয়ে এবার আইনি গেরোয় সিধুর পরিবার
IVF Age Limit: ২০২২ সালে আততায়ীদের গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যান সিধু। সেই ধাক্কা কাটিয়ে সন্তানহারা চরণ এবং বলকউর সম্প্রতি শিশুসন্তানকে স্বাগত জানিয়েছেন জীবনে।
নয়াদিল্লি: বছর দুয়েক আগে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় ছেলের। সেই থেকে সন্তানশোক নিয়েই দিন কাটছিল। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৌলতে সম্প্রতি ফের মুখে হাসি ফুটেছে চরণ সিংহ এবং বলকউর সিংহের। প্রয়াত গায়ক সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose Wala) মা-বাবা তাঁরা। ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন অথবা IVF পদ্ধতিতে চিকিৎসা করিয়ে সম্প্রতি শিশুসন্তান প্রসব করেছেন ৫৮ বছর বয়সি চরণ। কিন্তু ৫৮ বছর বয়সে চরণের মা হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। IVF পদ্ধতিতে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় তারা। (IVF Age Limit)
২০২২ সালে আততায়ীদের গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যান সিধু। সেই ধাক্কা কাটিয়ে সন্তানহারা চরণ এবং বলকউর সম্প্রতি শিশুসন্তানকে স্বাগত জানিয়েছেন জীবনে। IVF পদ্ধতিতে সিধুই ফের কোলে ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু শিশুটির জন্মের শংসাপত্র-সহ অন্য নথিপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসন তাঁকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ বলকউরের।
সেই নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন তিনি। ওই ভিডিও বার্তায় বলকউরকে বলতে শোনা যায়, "জেলা প্রশাসন আমাকে সন্তানের নথিপত্র নিয়ে হেনস্থা করছে। সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, চিকিৎসা সম্পূর্ণ হতে দিন। তার পর যা কাগজ চাইবেন, সেই নিয়ে হাজির হব। সব আইনি কাগজপত্র দেখাব আমি।"
কেন্দ্রের নোটিস
আরও পড়ুন: World Happiness Report: চিন, নেপাল, পাকিস্তানও এগিয়ে, সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ, কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, IVF পদ্ধতিতে যে ৫৮ বছর বয়সে মা হয়েছেন চরণ, সেই নিয়ে পঞ্জাব সরকারের কাছে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, IVF পদ্ধতিতে মা হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে ৫০ বছর। কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২১ (জি) (আই) ধারায় মহিলাদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাই চরণের IVF চিকিৎসা এবং তাঁর মা হওয়া নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্র।
পঞ্জাব সরকারের তরফে এ নিয়ে কী জানানো হয়েছে, তা যদিও স্পষ্ট হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যে ক্ষতাসীন আম আদমি পার্টির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়, 'কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ সিংহের IVF পদ্ধতিতে মা হওয়া নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ পঞ্জাববাসীর আবেগ এবং মর্যাদাকে সম্মান করেন। কেন্দ্রীয় সরকার ওই সব নথিপত্র চেয়েছে। মানুষের কাছে অনুরোধ, গুজবে কান না দিয়ে, সত্য-মিথ্যা যাচাই করে নিন'।
IVF চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক উপায়ে সন্তানধারণে অক্ষম মহিলার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে IVF চিকিৎসার উন্নতি ঘটেছে। আরও আধুনিক হয়েছে চিকিৎসা পদ্ধতি। সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তাও লাভ করছে। কিন্তু শিশুসন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই, IVF পদ্ধতিতে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার।