Chhattisgarh Assembly Elections 2023: ভোটমুখী ছত্তীসগঢ়ে বাংলার নেতাদের দাপট, শুভেন্দুর পর এবার প্রচার সারলেন অধীর
Adhir Ranjan Chowdhury: দু'দফায় ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন। ৭ নভেম্বর প্রথমদফায় ভোটগ্রহণ।
শিবাশিস মৌলিক, বিটন চক্রবর্তী, রাইপুর: দিন তিনেকের মাথায় ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানে বাংলার নেতাদের আনোগোনা চোখে পড়ার মতো। বিজেপি-র হয়ে একদিকে সেখানে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। এবার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করতে দেখা গেল লোকসভার সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury)। বাঙালি অধ্যুষিত আন্তাগড়ে দলের হয়ে প্রচার করলেন তিনি। সেখানে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে বিজেপি-কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে গেলেন তিনি। (Chhattisgarh Assembly Elections 2023)
দু'দফায় ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন। ৭ নভেম্বর প্রথমদফায় ভোটগ্রহণ। তার আগে শনিবার ছত্তীসগঢ়ে 'মিনি বাংলা' হিসেবে পরিচিত আন্তাগড়ে প্রচার সারলেন অধীর। শুভেন্দুর মতো তিনিও প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশে বাংলাতেই ভাষণ দিলেন। 'রামু' এবং 'শামু' বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
কংগ্রেসশাসিত ছত্তীসগঢ়ে কৃষকদের কুইন্টাল প্রতি ধানের সহায়ক মূল্য দেওয়া হয় ২ হাজার ৬৪০ টাকা করে, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক বলেই দাবি হাত শিবিরের। এবারের নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইস্তেহারে সেই মূল্য বাড়িয়ে ৩ হাজার ১০০ টাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিজেপিকে নিশানা করেন অধীর।
এদিন অধীর বলেন, "গুজরাতের কৃষককে কি কুইন্টাল প্রতি ২ হাজার ৬৪০ টাকা ধানের দর দেওয়া হয় বলুন? গুজরাতে তো ডাবল ইঞ্জিন সরকার। সেখানে ২ হাজার ৬৪০ টাকা ধানের দর দেওয়া হয়েছি কি? হয়নি। যেখানে নিজের সরকার, সেখানেই কৃষকদের দর দেয় না। এখানে তাদের সরকার নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে প্রলোভন দেখাচ্ছে। রাজস্থানে ৫০০ টাকা দাম রান্নার গ্যাসের। কংগ্রেসকে দেখে এখন দাম কমিয়েছে কংগ্রেস।"
অধীরের আগে, শুক্রবার আন্তাগড়েই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। অধীরকেও নিশানা করেন তিনি। কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে যাওয়া অধীরকে নিশানা করে বলেন, "ওসব করে কিছু হবে না। কংগ্রেসকে কেউ ভোট দেবে না। বিজেপি-ই জিতবে। ওরা কিছু করতে পারবে না।"
ছত্তীসগঢ়ে দীর্ঘ ১৫ বছর বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। ২০০৮ সালে তাদের হারিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। সেখানে ৬৮টি আসনে কংগ্রেস, ১৫টি আসনে বিজেপি এবং বাকিরা সাতটি আসনে জয়লাভ করে। এই আন্তাগড় কংগ্রেসের দখলেই থাকে মূলত। এবার সেখানে চতুর্মুখী লড়াই। কারণ কংগ্রেস, বিজেপি-র পাশাপাশি সেখানে এবার ভোটের ময়দানে পা রেখেছে আম আদমি পার্টি। বিদায়ী বিধায়ক অনুপ নাগকে এবার কংগ্রেস টিকিট দেয়নি। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
আন্তাগড়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটারই বাঙালি। সেই কারণেই ভোট পেতে বিজেপি, কংগ্রেস দুই দলই বাংলা থেকে নেতাদের নিয়ে যাচ্ছে প্রচার চালাতে। তবে এদিন অধীরের সভায় বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের কাউকে দেখা যায়নি।