Shashi Tharoor on PM Modi: 'ভারতের প্রধান সম্পদ', প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কংগ্রেস সাংসদ তারুরের
Operation Sindoor : প্রধানমন্ত্রীর "শক্তি, গতিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তি"-র জন্যই এই আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

নয়াদিল্লি : 'অপারেশন সিঁদুর'-সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরতে ভারতের তরফে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল, তার একটিতে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। ৫ দেশ ঘুরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের 'জিরো টলারেন্সের' নীতি তুলে ধরেছেন তিনি। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন তারুর। দ্য হিন্দু-র একটি কলামে কংগ্রেস সাংসদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে "ভারতের প্রধান সম্পদ" বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর "শক্তি, গতিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তি"-র জন্যই এই আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেসের কেরলের সাংসদ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্তি, গতিশীলতা এবং সম্পৃক্ততার ইচ্ছা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের জন্য একটি প্রধান সম্পদ, তবে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।" তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনটি বিষয় - প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং ঐতিহ্য - ভারতের ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক কৌশলকে চালিত করবে কারণ দেশ "আরও ন্যায়সঙ্গত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ বিশ্বের" জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
INDIA misses Indira, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির প্রেক্ষাপটে, সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় এই পোস্টে। মোদি-বিরোধীদের কাছে এটাই হয়ে ওঠে খোঁচা মারার অস্ত্র। ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধের কথা বারবার মনে করিয়ে দেয় কংগ্রেস। জয়রাম রমেশ থেকে অধীর চৌধুরী, সবাই বলে যান এই কথাই - সবাই ইন্দিরা হতে পারেন না। কিন্তু এই সময়ে এই বিষয়ে একেবারেই ভিন্নতম পোষণ করেন কংগ্রেসেরই এক দুঁদে প্রবীণ রাজনীতিক। শশী তারুর স্পষ্ট জানান, ১৯৭১ আর ২০২৫-এ অনেক পার্থক্য। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ১৯৭১ এবং ২০২৫-এর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে ভারতের কাছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রাথমিক লক্ষ্য, সেটাই হওয়া উচিত। শশী আরও বলেন, "১৯৭১ একটি বড় সাফল্য ছিল। ইন্দিরা গান্ধী উপমহাদেশের মানচিত্র পুনর্লিখন করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশ একটি নৈতিক লক্ষ্যে লড়াই করছিল এবং বাংলাদেশকে মুক্ত করা ছিল একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য। পাকিস্তানের দিকে কেবল গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়া কিন্তু কোনও লক্ষ্য নয়..।"
আগাগোড়া কংগ্রেসি তারুরের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সংঘাত চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর, নেতৃত্বের সমালোচনা করে যে ২৩ জন নেতা চিঠি দিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধীকে, সেই তালিকায় নাম ছিল তাঁর। এর পরও কংগ্রেসের টিকিটে ফের তিরুঅনন্তপুরম থেকে জয়ী হয়েছেন তারুর। এমনকী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়েও একসময় শামিল ছিলেন। (Congress News)সেই তারুরের সঙ্গে সম্প্রতি ফের সংঘাত দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের। সম্প্রতি মোদির প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে।
সম্প্রতি কেরলের ভিঝিমজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিরুঅনন্তপুরমের চার বারের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।






















