Coochbehar Palace: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসবে মায়াবী কোচবিহারের রাজপ্রাসাদ
রবিবার এই উৎসবের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক অন্যান্য অতিথিরা। ভারতের ঐতিহ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনকে তুলে ধরা হয়েছে এই মহোৎসবের মাধ্যমে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহার রাজ প্রাসাদকে কেন্দ্র করে যে পর্যটনের সম্ভাবনা রয়েছে তা তুলে ধরতে উদ্যোগী হল ভারত সরকার। কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের উদ্যোগে রবিবার থেকে কোচবিহার রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে শুরু হয় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি মহোৎসব। এবছর রাজ্যের তিনটি স্থানে এই মহোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তালিকায় কোচবিহার ছাড়াও আছে দার্জিলিং ও মুর্শিদাবাদ।
রবিবার এই উৎসবের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক অন্যান্য অতিথিরা। ভারতের ঐতিহ্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনকে তুলে ধরা হয়েছে এই মহোৎসবের মাধ্যমে। নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কোচবিহার রাজপ্রাসাদকে , সন্ধের পর আলোকোজ্জ্বল কোচবিহার রাজপ্রাসাদ মোহিত করছে দর্শকদের। এই মহোৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নৃত্য, সঙ্গীত এর দিকপাল শিল্পীরা অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র। এবার এই প্রথম এই ধরনের মহোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে কোচবিহারে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় মানুষের কাছে যা যথেষ্টই আনন্দের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল কোচবিহার শহর সংলগ্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় কোচবিহারে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এই উৎসবে একদিনে যেমন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন তেমনি স্থানীয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন সাধারন মানুষ। সবমিলিয়ে তিনদিন ধরে উৎসবের চেহারা কোচবিহার রাজ প্রাসাদ প্রাঙ্গণে।