Johnson and Johnson Vaccine Trail: জনসনের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে রাজ্যে
সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে পিয়ারলেস হাসপাতালে
কলকাতা: রাজ্যে এবার সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। শুরু হচ্ছে জনসনের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সারা দেশে ৬টি জায়গায় হবে ট্রায়াল। কলকাতায় ট্রায়াল হবে পিয়ারলেস হাসপাতালে। ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে হবে ট্রায়াল।
ইতিমধ্যে দেশে কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন, স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দেশের যে ৬টি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে জনসনের ভ্যাকসিনের টিককরণ হবে তার মধ্যে রয়েছে কলকাতার হাসপাতালের নামও। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সাফল্যের উপর নির্ভর করছে এই টিকাকে ছাড়পত্র হবে কিনা। উল্লেখ্য, এই প্রথম দেশে সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে।
প্রায় মাসখানেক আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জনসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিঙ্গল ডোজের ট্রায়াল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংস্থার এক আধিকারিক রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, আমরা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছি। নিয়ামক সংস্থার অনুমোদন পেলেই তা শুরু হবে।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিচিত নাম জনসন এন্ড জনসন। আমেরিকার সংস্থার এই ভ্যাকসিন ব্যবহারে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে মার্কিন প্রদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্কিন প্রদেশের নিয়ামক সংস্থা আগেই জানিয়েছিল জনসনের সিঙ্গল ডোজের টিকা অনেক বেশি সুরক্ষিত এবং ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকরী। মার্কিন মুলুকের ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দাবি করেছে, এই ভ্যাকসিন ৭২ শতাংশ কার্যকরী।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টিকা মিলছে না বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণও। কিন্তু ৩ টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও, চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যাচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পাওয়া যাচ্ছে না টিকা। টিকা না মেলায় বিশৃঙ্খলার ছবিও সামনে এসেছে। এই আবহেই এবার শুরু হতে চলেছে আরেক ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
এদিকে ভয়ঙ্কর করোনার ধাক্কায় ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে সর্বকালীন রেকর্ড। আবার চার লক্ষের গন্ডি পেরোল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯১৫ জনের।