চিকিৎসার গাফিলতিতে করোনা আক্রান্ত কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ, উত্তেজনা চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে
মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন হাসপাতালের দুই দল কর্মী।
কলকাতা: চিকিৎসার গাফিলতিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ। প্রতিবাদে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন হাসপাতালের দুই দল কর্মী।
মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়াল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাসে। বর্তমানে এই হাসপাতালে শুধুমাত্র কোভিড রোগীদেরই চিকিৎসা হচ্ছে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৬মে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন ভাস্কর চক্রবর্তী। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ভাস্কর চক্রবর্তী, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটেরই হাউসকিপিং বিভাগের কর্মী ছিলেন। সোমবার সন্ধেতে মৃত্যু হয় ৩৩ বছরের ওই কর্মীর। চিকিৎসার গাফিলতিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
মৃতের এক আত্মীয় মিহির চক্রবর্তী বলেন, ৯ দিন চিকিৎসা চলছিল, ২ দিন পর ছুটি হওয়ার কথা ছিল। সকাল ৯টায় ফোন, বলছে কাকা বাড়ি যাব। সন্ধে ৬টায় শুনি মারা গেছে। তাও ৮ টার সময় খবর দিল। গাফিলতির অভিযোগ
একই অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের হাউসকিপিং বিভাগের কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বাধা দেন হাসপাতালের সিভিল বিভাগের কয়েকজন কর্মী। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়।
মৃতের সহকর্মী রুদ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অক্সিজেন থাকাকালীন মারা গেল। ভাল ছিল, দুদিন ওষুধ দিলে ভাল হত, হঠাৎ ডাক্তার বলল বুকে জল জমে মারা গেছে। পুরোপুরি ভুল চিকিৎসা হয়েছে। আমাদের লোক মারা গেল, আমাদের জীবনের রিস্ক কে নেবে?
দিন পাঁচেক আগেই নিউটাউনের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটে একই অভিযোগ উত্তেজনা ছড়ায়। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, হাসপাতালের তরফে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শের পরেও রোগীকে অন্যত্র সরানো হয়নি। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, 'মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'
করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের মেডিক্যাল সুপার জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্র সরকার পরিচালিত স্বশাসিত সংস্থা। করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। কারণ, কোভিড হাসপাতালটি রাজ্যসরকার পরিচালিত। যদিও এ নিয়ে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।