Coronavirus Update: লকডাউনের বর্ষপূর্তি, ফিরে দেখা একবছর আগের দিনযাপন
ঠিক কেমন ছিল এক বছর আগের ছবিটা?
কলকাতা: আবারও একটা মার্চ মাস। আবার একটা ক্যালেন্ডারে ২৪ তারিখ। ঠিক এক বছর আগে এইদিন থেকেই গৃহবন্দি জীবন শুরু হয়েছিল দেশবাসীর। ঠিক রাত ৮টা নাগাদ লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ঠিক কেমন ছিল এক বছর আগের ছবিটা?
২০২০ সালে ২৪ মার্চ দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০০। সেই দিন পর্যন্ত কোভিড ১৯ এর জেরে মৃত্যু হয় ৫০ জনের। আর সেদিনই লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন জীবনের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে দেশবাসী। অভিধানে যোগ হয় সোশ্যাল ডিসটেন্স, কোয়ারান্টিন, আইসোলেশনের মতো শব্দগুলি। বাধ্যতামূলক হয় মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার।
প্রথম দফার লকডাউন ছিল ২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তার আগেই একাধিক রাজ্য সরকার বন্ধ করে স্কুল। শুনশান রাস্তাঘাট। প্রশাসনিক কড়াকড়ি। বন্ধ বাজারও। একমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকে। দমবন্ধ পরিবেশের মধ্যেই বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্ত থেকে মৃতের সংখ্যা। বদলে যায় দেশের হাসপাতাল গুলির ছবিও। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন দফতর আইসোলেশন ওয়ার্ড, কোয়ারিন্টিন সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়।
আর এই লকডাউনের জেরে বেহাল দশা হয় দেশের অর্থনীতির। পর্যটন শিল্প থেকে ই-কমার্স সংস্থা, করোনা কোপ পড়ে সর্বত্র। যে ক্ষতের দাগ এখনও মেলায়নি। এরই মধ্যে গত বছর স্মৃতি উস্কে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞদের মতে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে।
এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি সারা দেশে?
ফের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বাড়ছে করোনার গ্রাফ। তবে কি ফিরে এল একবছর আগের স্মৃতি? দেশের ৬ রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ বাড়েছে তাতে উঠছে এই প্রশ্ন। এই তালিকায় আছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়, তামিলনাড়ু।লকডাউনের বর্ষপূর্তিতে ফের করোনার ত্রাস দেশে। মারণ ভাইরাসের থাবা পড়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পরিবারে। করোনায় আক্রান্ত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও। দেশের বড় শহরগুলিতে প্রতি রবিবার লকডাউন ঘোষণা করেছে মধ্য প্রদেশ সরকার। ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধির এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকও হয়। ইতিমধ্যে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।