WB Coronavirus Surge: করোনা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে রাজ্যপালকে জানালেন মুখ্যসচিব
রাজভবনে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।এর আগে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কী করছে, তা জানতে চেয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল।
কলকাতা: রাজভবনে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।এর আগে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কী করছে, তা জানতে চেয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল।
এদিনও ট্যুইট করে রাজ্যপাল বলেন, করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত অত্যন্ত উদ্বেগ জনক। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা এখন জানতে পারলাম না মুখ্য সচিবের কাছ থেকে।
এরপরই রাজভবনে যান মুখ্যসচিব। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা রাজ্যপালকে জানান তিনি। জানা গেছে, মুখ্যসচিব রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো, ডেডিকেটেড চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলার মতো গৃহীত বন্দোবস্ত সম্পর্কে জানান তিনি।
এছাড়াও টিকা ও ওষুধের অপ্রতুলতার কথা তিনি রাজ্যপালকে জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতেও রাজ্যপালকে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এই বৈঠকের আগে রাজ্যপাল ট্যুইট করে বলেন, মানবতার এই সংকটের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একযোগে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের কোনও সুযোগ নেই।
এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে বলেছিলেন, সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে করোনাভাইরাসের দাপট। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, ‘করোনা মোকাবিলায় সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যবাসীকে রক্ষা করতে সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও ওষুধ ও ভ্যাকসিন চেয়েছি। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুপুর ২টোয় সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব।
ভ্যাকসিনের সঙ্কট নিয়ে গতকাল কেন্দ্রকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভ্যাকসিন সরবরাহে অনিশ্চয়তা দুর্ভাগ্যজনক। ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পারফরম্যান্স খুব ভাল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন কম পাঠানোয় সেই প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের ২.৭ কোটি টিকাকরণের জন্য দরকার ৫.৪ কোটি ভ্যাকসিন। খুব তাড়াতাড়ি যাতে এই সংখ্যক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি।
করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ওষুধ রেমডিসিভির, টসিলিজুমাব-এর জোগান নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। রোজ অন্তত ৬ হাজার রেমডিসিভিরের ভায়াল ও টসিলিজুমাব অন্তত ১ হাজার ভায়াল প্রয়োজন। এই মুহূর্তে প্রতিদিন মাত্র রেমডিসিভিরের ১ হাজার ভায়াল পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু টসিলিজুমাব-এর জোগান নেই।রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহেরও নিশ্চয়তা প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।