Harsh Vardhan on Covid19 : আগের বছরের তুলনায় এবার মহামারী যুদ্ধের প্রস্তুতি আরও ভাল : হর্ষ বর্ধন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কথায়, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার দু-মাসের মধ্যে রক্তদান করা যায় না। আগেই সেরে ফেলুন
দিল্লি: গতবছরের তুলনায় এই বছর মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে আরও ভালভাবে প্রস্তুত দেশ। মঙ্গলবার একটি ওয়েবিনারে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ-সহ মোট ১৩টি রাজ্যের রক্তদান শিবিরের সিরিজ নিয়ে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছিল।
করোনা আবহে রক্তের সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্লাড ব্যাঙ্ক, এনজিও-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও।
এই উদ্যোগের জন্য, উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। রক্তসঙ্কটের কথা মাথায় রেখে, সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর অনুরোধ, "বছরে অন্তত একবার নিজেদের জন্মদিনে রক্তদান করুন, এটা খুবই জরুরী।" পাশাপাশি রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ধর্মস্থানে গিয়ে পূণ্য অর্জনের থেকে রক্তদান আরও ভাল এবং মহৎ কাজ।"
কেন্দ্রের টিকাকরণ উৎসবের কথা মনে করিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "গত জানুয়ারিতে দেশবাসীর জন্য একটি বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইমতোই আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে টিকাকরণের আওতায় আনা হচ্ছে।"
এদিন তিনি আরও বলেন, "গত বছর অর্থাৎ ২০২০-র তুলনায় দেশ মানসিক এবং শারীরিকভাবে করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই-এর জন্য আরও অনেক বেশি প্রস্তুত।"
উল্লেখ্য়, ১৩টি রাজ্যের এই রক্তদান শিবিরগুলি সমস্ত কোভিডবিধি মেনে আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি সব কেন্দ্রের নির্দেশিকাও মেনেছে উদ্যোক্তারা। সবমিলিয়ে এমন সুন্দর পরিচালনার প্রশংসাই করেছেন হর্ষ বর্ধন। পাশাপাশি ওয়েবিনারে রক্তদানের কিছু নিয়ম বিধি উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, "করোনা টিকা নেওয়ার পরের দু-মাসে রক্তদান করা যায় না। কাজেই ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই সকলে রক্তদান করুন।"
উদ্যোগকারী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সঞ্জয় ট্যান্ডন জানিয়েছেন, "মহামারীতে রক্তের প্রয়োজনীয়তা পূরণের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। চলতি বছর চণ্ডীগড়ের বাইরেও ১৩টি পৃথক স্থানে রক্তদান শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ফাউন্ডেশন।" সভাপতি সঞ্জয় ট্যান্ডনের কথায়, "করোনা মহামারীর সময়ে রক্তসঙ্কট চরমে পৌঁছে গিয়েছে, কারণ পরিস্থিতির জন্য সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় রক্ত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।"