Covid19 Update : চুল্লি খারাপ, করোনায় মৃতদের সৎকার বন্ধ ক্যানিংয়ে !
চুল্লি খারাপ। তাই ক্যানিংয়ের "বৈতরণী"-তে করোনায় মৃতের দেহ দাহ করা যাচ্ছে না। ফলে, সমস্যা বাড়ছে।
![Covid19 Update : চুল্লি খারাপ, করোনায় মৃতদের সৎকার বন্ধ ক্যানিংয়ে ! Coronavirus Update: Pyre not working, cremation of Covid related death stopped at Canning Covid19 Update : চুল্লি খারাপ, করোনায় মৃতদের সৎকার বন্ধ ক্যানিংয়ে !](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/05/12/fb6f0bd787b60bd230a29c0e2cd0ba34_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ক্যানিং : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাড়ছে মৃত্যু। শেষকৃত্যের চাপ বাড়ছে শ্মশান ও কবরস্থানগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের "বৈতরণী" শ্মশানের চুল্লি খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে, করোনায় মৃতের দেহ দাহ করা যাচ্ছে না। সমস্যা বাড়ছে। এখানে ক্যানিং কোভিড হাসপাতাল সহ আশপাশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে দেহ পাঠানো হয় সৎকারের জন্য। কিন্তু, এই মুহূর্তে চুল্লি খারাপ থাকায় দেহ ঘুরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেক দেহ পড়ে থাকছে হাসপাতালগুলির মর্গে।
ক্যানিংয়ের বৈতরণী শ্মশানে একটি মাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। পরিস্থিতির সামাল দিতে গত বছর থেকে এই বৈদ্যুতিক চুল্লিটিকে শুধুমাত্র করোনায় মৃত রোগীদের দেহ সৎকারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। শুধু ক্যানিং মহকুমাই নয়, বারুইপুর মহকুমা সহ দক্ষিণ কলকাতারও বেশ কিছু জায়গার মৃতদেহ আনা হয় ক্যানিংয়ের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে।
গত জুলাইয়ের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত মোট ৪৭ টি দেহ দাহ করা হয়েছিল এখানে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র চার মাসেই ২১৩টি দেহ ইতিমধ্যেই দাহ করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের জেরে গত কয়েকদিনে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ টি দেহ সৎকারের জন্য আসছিল এই বৈতরণীতে। তবে রবিবার চারটি দেহ দাহ করার পর চুল্লিতে সমস্যা দেখা দেয়। সেই থেকে বন্ধ চুল্লি। ফলে, অনেক মৃতদেহ এখানে এলেও পরে তা অন্যত্র নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে।
গোবিন্দ সর্দার নামে শ্মশানের এক দাহকর্মী বলেন, "রবিবার রাত থেকে মেশিন খারাপ। আমরা বসে রয়েছি।" তবে প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই চুল্লি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দু'দিনের মধ্যেই চুল্লি মেরামতি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ১৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)