Covid-19 C.1.2 Variant : করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট C.1.2 হতে পারে আরও সংক্রামক, এড়াতে পারে ভ্যাকসিন-সুরক্ষা; বলছে গবেষণা
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের অনেক দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা গেছে। এটি আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য এবং ভ্যাকসিন থেকে পাওয়া সুরক্ষাও এড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি : তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছেই। এরই মধ্যে কোভিডের আরও মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের অনেক দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা গেছে। এটি আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য এবং ভ্যাকসিন থেকে পাওয়া সুরক্ষাও এড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের (কেআরআইএসপি) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বছরের মে মাসে দেশে প্রথম C.1.2 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট চিন, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, মরিশাস, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের বিশ্বে উদ্বেগ জাগানো অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে আরও বেশি মিউটেশন হয়েছে।
কলকাতার সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি থেকে ভাইরোলজিস্ট উপাসনা রায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, এটি আরও সংক্রমণযোগ্য হতে পারে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে, তাই এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা পেতে পারে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী টিকা অভিযানের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তাই যথাযথভাবে কোভিড বিধি অনুসরণ করে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হ্রাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। "
প্রসঙ্গত, আজ করোনায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কমলেও, বেড়েছে সক্রিয় কেসের সংখ্যা। রবিবারের তুলনায় অনেকটা কমেছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৯০৯ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু কেরলেই একদিনে সংক্রমিত ২৯ হাজার ৮৩৬ জন। দেশে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮০।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ২১০ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৩৯। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩২৪। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন, ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৪০৫ জন। একদিনে ৩৪ হাজার ৭৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন।