Covid-19 : মৃতদেহেও বহাল তবিয়তে বাসা বাঁধছে করোনার নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্ট, দাবি জাপানের একদল গবেষকের
করোনার আগের ঢেউয়ের সময়, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হত প্লাস্টিকে মুড়ে। আবারও কি ফিরে আসতে পারে সেই বিভীষিকার দিন ?
ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : চিন, জাপান-সহ বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছে করোনার নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্ট (New Sub Variant)। জাপানের (Japan) একদল গবেষকের দাবি, এই ভাইরাস মৃতদেহ থেকেও ছড়াতে পারে। নমুনা পরীক্ষাতেও দেখা গেছে, মৃতদেহে এই ভাইরাস অনেকদিন সক্রিয় থাকে। যদিও, গবেষকদের একাংশের দাবি, এনিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
মৃতদেহেও সক্রিয় ভাইরাস !
মাত্র কয়েক দিনেই, চিনের বেজিং কার্যত পরিণত হয়েছে, ভাইরাসের ভলক্য়ানোয় ! হাসপাতালে উপচে পড়ছে আক্রান্ত। শ্মশানে শেষকৃত্য়ের জন্য় লম্বা লাইন। এ যেন চিনে করোনার পুর্নজন্ম ! মারাত্মক বিষয় হল - করোনার এই নতুন উপপ্রজাতি শুধু ট্রেনে, বাসে বা ভিড় জায়গায়, একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়াচ্ছে এমনটা নয়। তা না কি ছড়াচ্ছে মৃতদেহ থেকেও ! হ্য়াঁ, ঠিকই শুনেছেন, মৃতদেহের মধ্য়েও বহাল তবিয়তে বাসা বেঁধে থাকতে পারে । করোনার এই নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্ট BF.7।
জাপানের চিবা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষক হিসাকো সাইতোর দাবি, ১৩ দিন আগে মৃত্য়ু হয়েছে, এমন ১১জনের ফুসফুস এবং নাক থেকে নেওয়া নমুনা তাঁরা পরীক্ষা করেন। তার মধ্য়ে ৬টি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, করোনা ভাইরাস সক্রিয় ছিল এবং জীবিত মানুষের শরীরে থাকা ভাইরাসের মতোই সক্রিয় ছিল। অর্থাৎ জাপানের এই গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, দু-এক দিন নয়, মৃত্য়ুর ১৩ দিন পর অবধি মৃতদেহের মধ্যে, এই ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় বাসা বেঁধে থাকতে পারে ! সেই কারণে এই সাব ভ্য়ারিয়েন্টের সংক্রমণকে গবেষকরা বলছেন, জম্বি ইনফেকশন !
চিকিৎসক সৌগত ঘোষ বলেন, কোভিডের সময় মৃতের শরীর থেকে টেস্ট করেছিলাম। সক্রিয় এসেছিল। সতর্কতা রাখা দরকার।
এই নতুন তথ্য় বিশেষজ্ঞদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ! কারণ, মৃতদেহ থেকে চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী কিংবা পরিজনদের মধ্য়ে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা ! বিশেষজ্ঞদের মতে, জম্বি ইনফেকশনের ঝুঁকি সবথেকে বেশি চিকিৎসক, প্য়াথোলজিক্য়াল বিভাগের কর্মী, হাসপাতালের কর্মী, শ্মশানের কর্মীদের। যাঁরা মৃতদেহের আশপাশে থাকেন। যদিও, এই তথ্য়ের সত্য়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
করোনার আগের ঢেউয়ের সময়, মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হত প্লাস্টিকে মুড়ে। সংক্রমণ চূড়ায় থাকাকালীন, পরিবারের সদস্য়দের মৃতদেহ দেখতেও দেওয়া হত না। আবারও কি ফিরে আসতে পারে সেই বিভীষিকার দিন ?