Cyclone Biparjoy: বর্ষার আগমনে বাধা ঘূর্ণিঝড়! দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি হলেও, বাংলায় ঢুকতে হতে পারে দেরি
Weather Updates: উত্তর ভারত মহাসাগরে চলতি মরশুমে এই নিয়ে দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা দিল। মে-র শুরুতে ঘূর্ণিঝড় মোকা আবির্ভূত হয়।
নয়াদিল্লি: বর্ষা ঢোকার আগে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা (Monsoon in India)। আরব সাগরে বছরের প্রথম ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হল। সেটি নিম্নচাপ থেকে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Biparjoy)। এই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব আবহাওয়ার উপরও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কেরল দিয়ে দেশে বর্ষা ঢোকে। কিন্তু এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বর্ষণে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে। আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলে দক্ষিণ ভারত ছাড়িয়ে খুব বেশিদূর এগোতে পারবে না বর্ষা (Weather Updates)।
উত্তর ভারত মহাসাগরে চলতি মরশুমে এই নিয়ে দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা দিল। মে-র শুরুতে ঘূর্ণিঝড় মোকা আবির্ভূত হয়। বঙ্গোপসাগর হয়ে সেটি মায়ানমার এবং বাংলাদেশের কিছু জায়গায় আছড়ে পড়ে। এবার পালা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকার মতোই, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব ভারতে তেমন পড়বে না বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
তবে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় তাণ্ডব না চালালেও, আবহাওয়া এর দ্বারা প্রভাবিত হবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। তাঁদের দাবি, আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলে পশ্চিম উপকূলে আগত বর্ষার তেজ কিছুটা হলেও স্তিমিত হবে। যতটা বৃষ্টি হবে বলে ভাবা হয়েছিল, ততটা নাও হতে পারে।
Cyclone #Biparjoy is tracking generally northward and is likely to strengthen up to a maximum intensity of around 175 km/h.
— Zoom Earth 🌎 (@zoom_earth) June 7, 2023
Forecasts are uncertain but the cyclone may weaken somewhat before any impacts in Oman, Pakistan or India. #CycloneBiparjoy #BiparjoyCyclone pic.twitter.com/x5Aoo3nMJa
এর প্রভাব পড়তে চলেছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের আবহাওয়ার উপরও। কৃষিকার্যের জন্য বিশেষ করে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল মহারাষ্ট্র। বৃষ্টির জলে জলাশয়গুলি ভরাট হলে, তা থেকেই সেচকার্য চলে। কিন্তু তেমন বৃষ্টি না হলে, সমস্যায় পড়বেন কৃষকরা। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জনিয়েছেন, এই ঘূর্ণবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি হলেও, বর্ষার গতিরুদ্ধ হতে পারে। বরং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলে বর্ষার আগমন ঘটবে পুরোদস্তুর।
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী, পাকিস্তানেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বুধবর সকালে দক্ষিণ করাচি থেকে ১ হাজার ৩৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ছিল নিম্নচাপের। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোচ্ছে সেটি। তবে সেটি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। তাই তার প্রভাবে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই ভারত, ওমান, ইরান এবং পাকিস্তানের মতো দেশে। তবে মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূল এলাকাগুলিতে নজরদারি চলছে।
তবে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘন ঘন এমন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির নেপথ্য়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ।