Bangladesh News : 'একের পর এক হিন্দু নিধন, মন্দির ভাঙচুর', কী পদক্ষেপ ভারতের, জানাল বিদেশ মন্ত্রক
India Govt On Bangladesh Issue : প্রশ্নের লিখিত জবাবে শুক্রবার লোকসভায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং উত্তর দিলেন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে।

নয়াদিল্লি : বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন চলছেই। ইউনূস সরকার মুখে সংখ্যালঘু সুরক্ষার কথা বললেও, দেশের পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীত। সংখ্যালঘুরা প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছে। এবার তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারত।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে, কী অবস্থান নিচ্ছে, পড়শি দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে, সেই দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। ভারতের পদক্ষেপ কী হবে, তা জানতে উদগ্রীব বাংলাদেশের হিন্দুরাও। শুধু হিন্দু-বিদ্বেষ নয়, যত দিন যাচ্ছে, বাংলাদেশের ক্রমেই চড়ছে ভআরত বিরোধিতার পারদ। এই আবহে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে শুক্রবার লোকসভায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং উত্তর দিলেন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গত দু'মাসে ( ২০২৪-এর ২৬ নভেম্বর থেকে ২০২৫-এর ২৫ জানুয়ারি ) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ৭৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে ২৩ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে এবং হিন্দু মন্দিরে ১৫২টি হামলার ঘটনা
ঘটেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে ভারত।
শুক্রবার সংসদে সরকারের কাছে লিখিতভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্ন রাখা হয়, পড়শি দেশে হিন্দুদের অবস্থা, ধর্মীয় স্থানে হামলার প্রসঙ্গে । গত দুই মাসে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হয়রানির ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। তারই উত্তরে এই জবাব দেওয়া হয় সরকারের তরফে।
ভারত-বিদ্বেষের জিগির তুলেই চলেছে বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটেই, কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারতও। দিল্লিতে নিযুক্ত সেদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করল সাউথ ব্লক। বুধবার শেখ হাসিনা বার্তা দেওয়ার ঘোষণা করতেই, নতুন করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ধানমণ্ডিতে মুজিবর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি। ইউনূস প্রশাসনের দাবি, শেখ হাসিনা ভারত থেকে উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়াতেই জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে, প্রতিবাদপত্র দেয় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। এর পাল্টা হিসেবেই এবার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মহম্মদ নুরুল ইসলামকে শুক্রবার বিকেলে তলব করে সাউথ ব্লক। ভারত সরকারের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়, যা সাম্প্রতিককালে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কয়েকবার তুলে ধরা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির জন্য দায়ী করে নিয়মিতভাবে বিবৃতি দিয়ে, ভারতকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরছে। বাংলাদেশের এই সব বক্তব্য়ই, নেতিবাচক পরিবেশের জন্য় দায়ী। পাশাপাশি তাঁকে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্যগুলি ব্যক্তিগত। সেখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। এগুলোকে ভারত সরকারের অবস্থানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে, তাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও উন্নতি হবে না। 'ভারত যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ভাল করার জন্য উদ্যোগী হবে, আমরা আশা করব বাংলাদেশ সেই পরিবেশকে নষ্ট না করে একইরকম উদ্যোগ নেবে।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
