Delhi Blast: বাড়ির মেয়ে জড়িয়ে পড়েছে জঙ্গি কার্যকলাপে! কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না ডক্টর শাহিনের বাবা-দাদা
Delhi Blast News: শাহিনের গ্রেফতারি এবং তাঁর কার্যকলাপ জেনে হতবাক তাঁর পরিবার। শাহিনের বড় দাদা মহম্মদ শোয়েব জানিয়েছেন, বোনের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল বছর চারেক আগে।

Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ স্ক্যানারে এসেছে ডক্টর শাহিন শাহিদ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। লাল কেল্লার কাছে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে তার যোগ রয়েছে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এককালে লখনউয়ের দালিগঞ্জের বাসিন্দা শাহিনের নাম এখন জানে গোটা দেশ। দালিগঞ্জের ব্যস্ত এলাকার সরু গলিতে থাকা সইদ আহমেদ আনসারির বাড়িটাও এখন অনেকেই চিনে গিয়েছেন। কারণ এই বাড়িরই মেয়ে শাহিন। সইদ আহমেদ আনসারির কন্যা। আর এই ডাক্তারের সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগ রয়েছে শাহিনের, বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর বাবা, বড় দাদা
অভিযোগ, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনে মেয়েদের নিয়োগের কাজ করত ডক্টর শাহিন শাহিদ। দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে দুটো ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত সে। সেখানে থেকে প্রায় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় শাহিনকে। যে দুটো ঘরে সে থাকত তা আদতে আরেক ডাক্তারের। ডক্টর মুজাম্মিল, সে এক কাশ্মীরি ডাক্তার এবং ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই কর্মরত ছিল শাহিন।
শাহিনের গ্রেফতারি এবং তার কার্যকলাপ জেনে হতবাক তার পরিবার। শাহিনের বড় দাদা মহম্মদ শোয়েব জানিয়েছেন, বোনের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল বছর চারেক আগে। লখনউয়ের প্রান্তে আইআইএম রোডে আস্তানা ছিল শাহিনের। সেখানে কখনও বোনের সঙ্গে দেখা করতে যাননি বলেই জানিয়েছেন শাহিনের বড় দাদা। সঠিক ভাবে ওই বাড়ি চেনেন না বলেও জানিয়েছেন শোয়েব। বোন যে এ ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সেই সন্দেহও তাঁর হয়নি কোনওদিন। ডাক্তারির পড়াশোনা করছিল শাহিন। তবে তার কার্যকলাপে কোনওদিন সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়েনি। বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্বাস করতে পারছেন না বড় দাদা শোয়েব।
শাহিনের দাদার মতোই হতবাক তার বাবাও। সইদ আহমেদ আনসারির কথায়, তাঁর মেয়ে এই ধরনের কাজকর্মে যুক্ত, বিশ্বাস করতে পারছেন না। এলাহাবাদে ডাক্তারির পড়াশোনা করেছিল শাহিন। তারপর কাজ করত ফরিদাবাদে। এমনটাই জানিয়েছেন শাহিনের বাবা। শাহিনের সঙ্গে মাস খানেক আগে কথা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁর বাবা সইদ আহমেদ আনসারি। মেয়ের গ্রেফতারির খবর জানতেও পারেননি তিনি। ডাক্তারি পড়তে পড়তে বাড়ির মেয়ে যে এ হেন জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, কোনওভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না ডক্টর শাহিনের বাবা এবং বড় দাদা।
তথ্যসূত্র- NDTV





















