(Source: Poll of Polls)
Delhi oxygen concentrator bank : ২ ঘণ্টার মধ্যে পরিষেবা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যাঙ্ক গড়ল দিল্লি
হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের জন্য চালু হয়েছিল অক্সিজেন পরিষেবা। এবার ১১ জেলায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যাঙ্ক গড়ল কেজরিওয়ালের সরকার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আবেদনের ২ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যাবে পরিষেবা।
নয়া দিল্লি : হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের জন্য চালু হয়েছিল অনলাইনে অক্সিজেন পরিষেবা। এবার ১১ জেলায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যাঙ্ক গড়ল কেজরিওয়ালের সরকার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আবেদনের ২ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যাবে পরিষেবা।
ক'দিন আগেই হোম আইসোলেশনে থাকা দিল্লিবাসীর মেডিক্যাল অক্সিজেনের অভাব মেটাতে অনলাইনে অক্সিজেন বুকিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজধানীর ১১টি জেলায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যাঙ্ক গড়া হল। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ''দিল্লির হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের নিয়মিত ডাক্তারের নজরদারিতে রাখা হবে। কোনও পরিস্থিতিতে তাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছে যাবে। হাসপাতাল থেকে যে কোভিড রোগীদের ছাড়া হবে, প্রয়োজনে তাঁদেরও অক্সিজেন কমসেনট্রেটর দেওয়া হবে। তবে কেবল ডাক্তারের পরামর্শেই অক্সিজেন সিলিন্ডার পাবেন হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরা।''
শনিবার প্রেস কনফারেন্স করে কেজরিওয়াল বলেন, ''অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো অক্সিজেন না পেয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি হতে হয় কোভিড রোগীদের। বহু ক্ষেত্রে অক্সিজেন না পেয়ে রোগী মারা যান। সেই কারণে প্রতিটা জেলায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ব্যাঙ্ক গড়ল দিল্লি সরকার। প্রতি ব্যাঙ্কে ২০০ করে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রাখা হবে। এই পরিষেবা পেতে ১০৩১ ডায়াল করতে হবে রোগী বা রোগীর পরিবারকে। ''
অনেক সময় অক্সিজেন পেয়ে গেলেও তা চালানো নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় রোগীকে। সেই সমস্যার সমাধানেও উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লি সরকার। অক্সিজেন পরিষেবার গ্রুপে রাখা হয়েছে 'নো হাও' মেম্বারদের। এরাই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বা মেডিক্যাল অক্সিজেন চালানোর বিষয়টা হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের দেখিয়ে দেবে।
দিল্লির করোনা বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৩০ জন। এই নিয়ে টানা দুদিন রাজধানীতে ১০ হাজারের নিচে নেমে গেল করোনা গ্রাফ। যদিও একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৭ জনের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজধানীতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১,২৪৪ জন। পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৩২ শতাংশ।