ইডি ‘সক্রিয়তা’য় রাজনীতি! শাহ-কে কটাক্ষ ডেরেকের
ট্যুইটে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

কলকাতা: সিবিআইয়ের পরে কয়লা পাচারকাণ্ডে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সংবাদসংস্থা PTI ও ANI সূত্রে খবর, এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছে ইডি।
এই প্রেক্ষাপটেই ট্যুইটে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেছেন, জানতে পারলাম, নতুন CBI অধিকর্তা, কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিককে নির্লজ্জভাবে কাজ করতে বারণ করেছেন। বিরোধীদের হেনস্থা করলে একটি দলেরই লাভ! তাই নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন হি-ম্যান (HM)। তিনি এখন সব মামলার তদন্তভার তুলে দিচ্ছেন তাঁর অনুগত ED অধিকর্তার হাতে।
সরাসরি নাম না করলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ই যে তৃণমূল সাংসদের নিশানায়, তা স্পষ্ট। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়, কোর্টই বলেছে সিবিআই খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি, বিজেপি সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে, যেহেতু ইডি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে, সেই কারণেই ইডি-কে দিয়ে এসব করানো হচ্ছে, ইডির ডিরেক্টর হোম মিনিস্টারের অনুগত।
বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস আদালতের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, সেগুলোকেও চ্যালেঞ্জ করছে, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কয়লাকাণ্ডে ED-র সক্রিয়তা তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
অধীর চৌধুরীর কথায়, গত বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকেও। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতিতে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়।
এর ঠিক ৬ মাস পরে কয়লাকাণ্ডে আগামী ১ সেপ্টেম্বর রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির দিল্লির অফিসে তলব করায় ফের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের অভিযোগে সরব হল তৃণমূল।






















