এক্সপ্লোর
Advertisement
জামিন পেয়েই তোপ দিলীপের, বিজেপির মিছিল গদির জন্য, খোঁচা পার্থর
কলকাতা: বিক্ষোভ-আন্দোলনের রাস্তায় নেমে আর পিছিয়ে আসতে চাইছে না বিজেপি। আন্দোলনের ঝাঁঝ জিইয়ে রাখতে লালবাজার অভিযানের ২৪ ঘণ্টা পর ফের পথে তারা। তবে, ফের পথে নামলেও, ২৪ ঘণ্টার অন্তরে বিজেপির বিক্ষোভের ধরনে কিন্তু ফারাক চোখে পড়ল! বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে যে চড়া মেজাজ ধরা পড়েছিল, শুক্রবার তা উধাও। এদিন অনেক সংযত বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবারের লালবাজার অভিযানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে, এই অভিযোগে শুক্রবার বৌবাজার থানা অভিযানের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। এই থানায় কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্য সদর দফতর থেকে মিছিল করে বৌবাজার থানার দিকে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা।
লালবাজার অভিযানের কথা মাথায় রেখে বৌবাজার থানাকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বৌবাজার থানার দিকে ঢোকার রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। সেই পর্যন্ত পৌঁছে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল বৌবাজার থানার ওসি-র কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
একই ইস্যুতে এদিন কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও সক্রিয় ছিল বিজেপি। বিকেলে বেশ কিছুক্ষণ হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে মিছিল করে বিজেপি। বীরভূমে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে পেশ করা হয় স্মারকলিপি।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনায় যাতে ভাঁটা না পড়ে, সেজন্যই লালবাজারে অভিযানে গ্রেফতার হওয়ার পর দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা বৃহস্পতিবার রাতে জামিন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে কর্মীদের সঙ্গেই রাত কাটান তাঁরা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় তো লক আপ থেকে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে বক্তৃতাও দেন।
লালবাজার সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি নেতাদের জন্য বাইরে থেকে প্যাকেটে খাবার দাবার আসে। শুক্রবার সকালে বিজেপি নেতাদের লক আপে গান গাইতেও শোনা যায়। বেলায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যদিও, শেষমেশ দেখা হয়নি।
দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ বিজেপি নেতাদের পুলিশ ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। সেখানেও চলে একপ্রস্থ স্লোগান। এরপর দিলীপ, বিজয়বর্গীয়, লকেট সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতা-নেত্রীদের জামিন হয়ে যায়। জামিন পেয়েই তৃণমূল ও পুলিশকে একহাত নেন দিলীপ। বিজেপিকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিজেপির যা কিছু আন্দোলন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গরিব মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ কিংবা বাংলার উন্নয়নের জন্য ওরা মিছিল করে না। মিছিল করে শুধু দল আর গদির জন্য। সবমিলিয়ে তরজা তুঙ্গে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
খবর
Advertisement