(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Doda House Cracks: জোশীমঠ হওয়ার পথে! উপত্যকায় একাধিক বাড়িতে ফাটল, সরানো হল বাসিন্দাদের
Jammu And Kashmir: পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, ডোডা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কিশতওয়ার-বতোতে জাতীয় সড়ক বরাবর নয়ি বস্তি গ্রামের একটি মসজিদ, মেয়েদের একটি মাদ্রাসা স্কুলকেও বিপজ্জনক ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
নয়াদিল্লি: আতঙ্কে প্রহর গুনছেন উত্তরাখণ্ডের মানুষ। তার মধ্যেই এ বার বিপর্যয় জম্মু ও কাশ্মীরে (Doda House Cracks)। সেখানকার ডোডা গ্রামে কমপক্ষে ২১টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাত পর্যন্ত ১৯টি পরিবারকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। সেখানকার মহকুমা শাসক আতার আমিন জারগার জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ভূমির অবনমন ঘটছে। তার জেরেই একের পর এক বাড়িতে ফাটল। প্রথমে ছ'টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। তার পর ক্রমশ বেড়ে সংখ্যাটা ২১-এ পৌঁছে যায় (Jammu And Kashmir)।
রাত পর্যন্ত ১৯টি পরিবারকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, ডোডা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কিশতওয়ার-বতোতে জাতীয় সড়ক বরাবর নয়ি বস্তি গ্রামের একটি মসজিদ, মেয়েদের একটি মাদ্রাসা স্কুলকেও বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আতার জানান, আপাতত ১৯টি পরিবারের শতাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে। পুলিশের শীর্ষ কর্তারা এলাকায় রয়েছে, আশ্বস্ত করছেন স্থানীয় মানুষ জনকে।
শনিবার সকালে ডোডা প্রশাসন এবং জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ভূমির অবনমন পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে। সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এলাকা। সেই রিপোর্ট সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মানুষ জনতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপত্যকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও।
#WATCH | A building that had been vacated after it developed cracks collapses in Jammu & Kashmir's Doda pic.twitter.com/OUmqO6BDvN
— ANI (@ANI) February 3, 2023
তবে ডোডার পরিস্থিতির সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের পরিস্থিতির তুলনা করতে নারাজ স্থানীয় স্থানীয় প্রশাসন। চন্দ্রভাগা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তথা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই এলাকায় এমনিতেই ধস নামার ঘটনা লেগেই থাকে। বংশ পরম্পরায় ওই এলাকায় বসবাসকারী নমানুষ জন যদিও আতঙ্কিত। এত দিন ধরে সেখানে রয়েছেন, আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তাঁদের।
দিন কয়েক আগে পর পর কিছু বাড়িতে প্রথম ফাটল দেখা দেয়, তার পর নামে ধস
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে পর পর কিছু বাড়িতে প্রথম ফাটল দেখা দেয়। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ধস নমে। তাতে সংখ্যাটা বেড়ে ২১-এ পৌঁছে যায়।