PM Narendra Modi:প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপর 'রহস্য়জনক ড্রোন'! তল্লাশিতে মেলেনি কিছু, দাবি পুলিশের
Drone Suspicion Over PM's Residence:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই হইচই! সন্দেহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপর, সন্দেহজনক ড্রোন দেখা গিয়েছে। 'নো ফ্লাইং জোন'-এ হঠাৎ কীসের এমন আনাগোনা?
নয়াদিল্লি: সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই হইচই! সন্দেহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের (PM Narendra Modi Residence) উপর, সন্দেহজনক ড্রোন (Mysterious Drone) দেখা গিয়েছে। 'নো ফ্লাইং জোন'-এ (No Flying Zone) হঠাৎ কীসের এমন আনাগোনা? ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি পুলিশে ফোন করে এসপিজি। তার পর থেকে তন্ন তন্ন করে চলছে খোঁজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান মেলেনি। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। এমন কোনও উড়ন্ত যানের কথা তারাও জানাতে পারেনি।
কী ঘটল?
এই মুহূর্তে যা খবর, তাতে কোনও সন্দেহজনক বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অনেকের মতে, ড্রোনের মতো যান যেহেতু অত্যন্ত অল্প উচ্চতায় ওড়ে, তাই এটিসি-র পক্ষে তা নজর করা সম্ভব নাও হতে পারে। প্রসঙ্গত, ড্রোন নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ আগে থেকেই রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে পাঞ্জাবের অমৃতসর সেক্টরে বর্ডার আউট পোস্টের ওপর উড়তে দেখা যায় একটি ড্রোন। বিএসএফ জওয়ানরা গুলি ছুড়ে নামায় সেটি । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ড্রোনটি। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। এই ঘটনার কয়েক দিন আগে, পাঞ্জাব সীমান্তেই ড্রোন হানা হয়েছিল। গুরুদাসপুর জেলার চান্দু ওয়াডালা বিএসএফ (BSF) চৌকির আড়াইশো মিটারও ওপরে উড়তে দেখা যায় সেই ড্রোনটিকে। সেদিনই ড্রোনের দিকে গুলি ছুড়েছিল বিএসএফ। কিন্তু তার মধ্য়ে পাকিস্তানের দিকে উড়়ে যায় ড্রোনটি। তারও কিছুদিন আগে নভেম্বরে পাক সীমান্ত লাগোয়া পাঞ্জাবের এক গ্রামে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই ঘটনায় একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল বিএসএফের তরফে। সেখানে বলা হয়েছিল, '২৮ নভেম্বর রাত ১০ টা ৪৭ মিনিট নাগাদ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ আধিকারিকরা অদ্ভূত আওয়াজ পেয়েছিলেন। তখনই খেয়াল করেন, পাকিস্তানের দিক থেকে একটি সন্দেহজনক ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতর অমৃতসর গ্রামীণ জেলার ছহরপুর গ্রামের কাছে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোনটিকে গুলি ছুড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। গুলি লেগেই সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে।' সূত্রের খবর, পরে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় একটি হেক্সাকপ্টার উদ্ধার করেন বিএসএফ আধিকারিকরা। সঙ্গে সাদা পলিথিনে মোড়া সন্দেহজনক কিছু বস্তুরও হদিশ পাওয়া যায়। দুটিই ছহরপুর গ্রামের চাষজমির উপর পড়েছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ধারণা, এভাবে আসলে চোরাচালানের চেষ্টা রুখে দেওয়া দিয়েছে। তার কিছুদিন আগেই আগেই সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মুখে।
এবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপর ড্রোনের আনাগোনা নিয়ে হইচই পড়ে গেল রাজধানীতে।
আরও পড়ুন:'ভুয়ো ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে', বিস্ফোরক সুকান্ত