Pune Shocker: বাড়ি নিয়ে বিবাদের জের, বোনকে খুনের পর নদীতে দেহাংশ ভাসাল দাদা-বৌদি
Pune News: বস্তির একটি ঘর নিয়ে বিবাদের জেরে বোনকে খুন করে তাঁর দেহাংশ নদীতে ফেলে দিল দাদা ও বৌদি। এই ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুনে: বাড়ি নিয়ে বিবাদের জেরে বোনকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল ওই মহিলার দাদা ও বৌদি। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুনে (Pune) শহরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুনে শহরের একটি বস্তিতে একটা ঘরের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বছর ৪৮-এর সাকিনা খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তাঁর দাদা ৫১ বছর বয়সী আসফাক খান ও তার স্ত্রী হামিদার। সম্প্রতি সেই বিবাদ চরম আকার ধারণ করে। বিতর্কিত ঘরের দখল নিয়ে ঝগড়ার সময় বোন সাকিনাকে খুন করে তাঁর দাবা আসফাক ও বৌদি। তারপর ওই মহিলাটির দেহ খণ্ড খণ্ড করে কেটে পুনে শহরের মুথা নদীতে ভাসিয়ে দেয় অভিযুক্ত ও তার স্ত্রী।
Maharashtra | The Crime branch arrested 51-year-old Asfaq Khan and his wife for killing his 48-year-old sister Sakina, cutting the dead body in pieces and disposing in the Muth River. Both arrested accused have confessed to the crime. The motive behind the murder was a dispute…
— ANI (@ANI) September 1, 2024
গত ২৬ অগাস্ট মুথা নদীর পাড় থেকে শাকিনার হাত ও পায়ের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। খোঁজ খবর নিয়ে জানা ওই দেহাংশ সাকিনা নামে ৪৮ বছরের এক মহিলার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বস্তির একটি ঘরের দখল নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁর দাদা-বৌদি শাকিনাকে খুন করে তাঁর দেহাংশ টুকরো করে কেটে মুথা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে দাদা আসফাক ও বৌদি হাসিনা। এরপরই শনিবার আসফাক খান ও তার স্ত্রী হামিদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করতেই দু-জনে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার রঞ্জন কুমার শর্মা বলেন, মুখা নদীর পার থেকে পুনে শহরের পুলিশ একটি মৃতদেহের দেহাংশ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করার সময় মৃত মহিলার শরীরে কোনও কাপড় ছিল না। অভিযুক্তরা প্রমাণ লোপাটের জন্য সমস্ত রকমের প্রমাণ নষ্টের জন্য এইভাবে মৃতদেহের অংশটি নদীতে ফেলে দিয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, মৃত শাকিনার তাঁর দাদার সঙ্গে শিবাজি নগর বস্তিতে একটি ঘরের দখল নিয়ে ঝামেলা চলছিল। খবর নিয়ে জানা যায় শাকিনা নিখোঁজ রয়েছেন। এরপরই তাঁর দাদা আসফাক ও তার স্ত্রী হামিদাকে আটক করে জেরা করে পুলিশ। জেরায় ধৃতরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ও ২৩৮ ধারা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।