Kuno Cheetah Drowning: সাঁতরে চম্বল পেরিয়ে এসে নালায় মৃত্যু? কুনোয় আরও এক চিতার দেহ উদ্ধার, বিষপ্রয়োগ নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ
Kuno National Park: গত ২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার ডলে ডুবে মৃত্যু হয় পবনের।
নয়াদিল্লি: কয়েক দিন আগে পর্ন্ত এনক্লোজার খুলে চিতাগুলিকে মুক্ত করে দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। আর সেই আবহেই মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় অরণ্য আরও এক চিতার মৃত্যুর হল। এনক্লোজারের বাইরে থাকা একমাত্র চিতা, পবন জলে ডুবে মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পবনের এই মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কুনো জাতীয় অরণ্যে ব্যাঘ্র প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গবেষক এবং আধিকারিকরাও বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান। (Kuno Cheetah Drowning)
গত ২৭ অগাস্ট, মঙ্গলবার ডলে ডুবে মৃত্যু হয় পবনের। দক্ষিণ আফ্রিকা, নমিবিয়া থেকে আনা ২০টি চিতার মধ্যে পবন অষ্টম চিতা, যে মারা গেল। কিন্তু অন্য চিতাদের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ তৈরি না হলেও, পবনের মৃত্যুকে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর অধরা। মঙ্গলবার একটি নালর পাড় থেকে পবনের দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না কোনও। কিন্তু মাথা সমেত দেহের অর্ধেক ছিল নালার জলের মধ্যে। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। (Kuno National Park)
কিন্তু চিতার মতো ক্ষিপ্র পশু জলে ডুবে কী করে মারা গেল, দেহের অর্ধেক অংশ ডুবে এবং অর্ধেক অংশ বাইরে থাকে কী করে, উঠছে প্রশ্ন। পবন এর আগে চম্বল নদী সাঁতরে পার করেছে। সে নালায় কী করে ডুবে গেল, সুস্থ-সবল একটি চিতার এমন মৃত্যু সম্ভব কি, এই প্রশ্নও তুলেছন অনেকে। নিশ্চয়ই এর নেপথ্যে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আর এতেই বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব উঠে আসছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন চিতা কমিটির চেয়ারম্যান রাজেশ গোপাল। তিনি বলেন, "বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে পারছি না আমরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।" কোনও মানুষই চিতাটিকে বিষ খাইয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন জাতীয় অরণ্যের কর্মীরাও। ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার মুখ্য পশু চিকিৎসক এনভিকে আশরফ বলেন, "না বন্যা হয়েছে, না স্রোতে ভেসে গিয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা ছাড়া, সুস্থ-সবল চিতা এভাবে নালায় ডুবে যেতে পারে না।"
২০২২ সালে নমিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয় পবনকে। তখন তার বয়স ছিল তিন বছর। পবনই প্রথম পুরুষ চিতা, যাকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এনক্লোজারের বাইরে ছাড়া হয়। গত ২৭ অগাস্ট পবনের ময়নাতদন্ত হয়। তার ফুসফুসে জল পাওয়া গিয়েছে যদিও। নমুনা পাঠানো হয়েছে জবলপুরের ল্যাবে। সাপের দংশনের কোনও চিহ্ন মেলেনি পবনের শরীরে। বিষপ্রয়োগ হয়েছিল কি না জানতে পবনের পেটে যা ছিল, সেগুলোও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। শরীরের পিছনের অংশ ঝোপে আটকে যাওয়াতেই পবন জল থেকে তুলতে পারেনি, এমন দাবিও করছেন কেউ কেউ।