Earthquake News: ভর সন্ধেয় ফের ভূমিকম্প বাংলাদেশে, মাটি কাঁপল ঢাকার, উৎপত্তিস্থল সেই নরসিংদী
Dhaka Earthquake News: শুক্রের পর শনিবারও মাটি কাঁপল, সকাল থেকে দু'বার।

ঢাকা: ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। শুক্রের পর শনিবারও মাটি কাঁপল ঢাকার। এক বার নয়, সকাল থেকে দু'বার। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও সেই নরসিংদী। ঢাকা-সহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। এদিন নতুন করে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। এদিন নতুন করে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, স্পষ্ট নয় এখনও পর্যন্ত। তবে পর পর দু'দিন ভূমিকম্পে মাটি কেঁপে ওঠায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। (Dhaka Earthquake News)
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' জানিয়েছে, শনিবার সন্ধে ৬টা বেজে ঠিক ৬ মিনিটে মাটি কেঁপে ওঠে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এদিন সম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীর থেকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩। (Earthquake News)
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। অন্য দিকে, ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের দাবি, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৩.৭ ছিল।
তবে শনিবার সন্ধেয় প্রথম নয়, এদিন সকালেও পলাশ উপজেলায় মৃত কম্পন অনুভূত হয়। সকাল ১০টা বেজে ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে মাটি। তখন কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৩। শুক্রবার যে ভূমিকম্প হয়েছে বাংলাদেশে, এখনও তার ভয়াবহতা কাটেনি। তীব্র কম্পনে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভেঙে পড়ে বাড়িঘর। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মারা যান ১০ জন। আহত হয়েছেন ৬০০-র বেশি মানুষ।
পর পর এভাবে মাটি কেঁপে ওঠায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এখন তো তবু তীব্রতা কম রয়েছে। বড় ভূমিকম্প হলে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে গোটা বাংলাদেশে। ২০০৯ সালে একটি সমীক্ষায় বলা হয়, কম্পনের তীব্রতা ৭ বা তার বেশি হলেই ঢাকা শহরে ৭২ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আরও ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। দুর্যোগ মোকাবিলায় তখন থেকেই প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।























